শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পদ্মার ভাঙন রোধে বালির বাঁধ!

প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোয়ালন্দ উপজেলা সংবাদদাতা : উত্তাল পদ্মার তা-ব ঠেকাতে বালির বাঁধের মতো দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ভাঙন রোধে বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। ভয়াবহ ভাঙনের মুখে থাকা এ ঘাট রক্ষার জন্য টেকসই ও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষ বিকল্প নতুন ঘাট তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেও এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ৬ মাস ধরে আটকে আছে।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুট। এ রুটের দৌলতিয়ার ৪টি ফেরিঘাট ও ঘাটসংলগ্ন জনবসতি ভয়াবহ নদীভাঙনের কবলে পড়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই বসতভিটা সরিয়ে নিয়েছে। কয়েক দফা ঘাটের ভাঙন ঠেকাতে জরুরি কাজ করা হয়েছে। এ দিকে ফেরিঘাটের ভাঙন ঠেকাতে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ঘাট এলাকায় আবারো জরুরি কাজ শুরু করেছে। পাথর কিংবা ব্লক না ফেলে বালির বস্তার এ ধরনের কাজ ভাঙন রোধে কতটা কর্যকর হবে তা নিয়ে খোদ সংশ্লিষ্টরাই সন্দিহান।
সরেজমিন দেখা যায়, ঘাটের ৪ নং ফেরিঘাট এলাকায় শ্রমিকরা বাঁশ ও কাঠের পাইলিং তৈরি করে সেখানে প্লাস্টিক ও জিও ব্যাগ ভর্তি বালি ফেলছেন। তবে শত শত বস্তার এ বালিগুলো অবৈধভাবে নদীর পাড় ও তীর কেটে বস্তায় ভরা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। প্রতিটি বস্তা ৮০ কেজি ওজনের হওয়ার কথা থাকলেও বেশির ভাগ বস্তাতেই তা নেই। এ সময় কাজের তদারকিতে থাকা বিআইডব্লিউটিএর কারিগরি সহকারী রবিউল আওয়ালকে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তিনি মূলত আরিচা ঘাটের দেখভাল করেন। এখানে কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তা তিনি জানেন না।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, ঢাকার এসএফ রহমান ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভাঙন ঠেকাতে এ জরুরি কাজ করছে। জরুরিভাবে নদীর পাড় ও তীর থেকে কিছু বালি কাটলেও পরবর্তীতে ট্রলার ও ট্রাকে করে দূর থেকে বালি আনা হবে। ৪টি ঘাট ও ঘাটের উভয় পাশে  ৮০-৯০ ফুট করে এভাবে বস্তা ফেলা হবে বলে তিনি জানান। তবে এ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নদীতে তীব্র ¯্রােত ও ঢেউ শুরু হলে কতটা কার্যকর থাকবে তা নিয়ে তিনি নিজেই সংশয় প্রকাশ করেন।বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, দেশের অতিগুরুত্বপূর্ণ এ ঘাট চরম হুমকির মুখে রয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে হয়তো টিকবে না। এ অবস্থায় নিরাপদ স্থানে নতুন ঘাট তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্র্তৃপক্ষের কাছে আমরা অনেকবার অনুরোধ জানিয়েছি।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ ঘোষ জানান, দৌলতদিয়ায় বিকল্প নতুন ঘাট তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে জেলা প্রশাসন থেকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রায় ৬ মাস আগে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সেটি দ্রুত পাস হলে এখানে নতুন করে অ্যাপ্রোচ সড়ক ও ঘাট নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করতে পারত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন