অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া বাংলাদেশী টাকার যে অংশ বিতর্কিত চীনা ব্যবসায়ী কিম অংয়ের কাছে যায় তার সবটাই তিনি ফেরত দিয়েছেন। অংয়ের পরামর্শক আইনজীবী ক্রিস্টোফার জেমস পুরিসীমা জানিয়েছেন, ফিলিপিন্সের এন্টি মানিলন্ডারিং কাউন্সিলের কাছে বাকি টাকা জমা দেন। ম্যানিলার ব্যাঙ্কো সেন্ট্রাল এনজি ফিলিপিন্স (বিএসপি) কমপ্লেক্সে এই অর্থ ফেরত দেয়া হয়। এ সময় ফিলিপিন্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজও উপস্থিত ছিলেন। গত ৫ এপ্রিল ব্লু-রবিন কমিটির কাছে ১৫-৩০ দিনের মধ্যে নিজের কাছে থাকা সব অর্থ ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন অং। টাকা ফেরত দিয়ে তিনি তার সেই অঙ্গীকার রক্ষা করলেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয় এবং তা আরসিবিসির চারটি শাখার মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়। এই ঘটনায় দুজন ফিলিপিন্স ব্যাংকার চাকরি হারিয়েছেন। অর্থ ফেরত দেয়ার পর এক বিবৃতিতে অং বলেন, আমি ব্লু-রবিন কমিটির কাছে ১৫-৩০ দিনের মধ্যে বাকি অর্থ ফেরত দেয়ার কথা বলেছিলাম। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার একদিন আগেই সেটা করলাম। ফিলিপিন্স স্টার জানায়, আলাদা তিনটি বড় প্লাস্টিকের ব্যাগে করে টাকাগুলো হস্তান্তর করা হয়। যার একটি ব্যাগে ২৩০ মিলিয়ন পেসো (ফিলিপিন্সের মুদ্রা), একটিতে এক হাজার মিলিয়ন পেসো এবং অপর একটি ব্যাগে ২০ মিলিয়ন পেসো ছিল। এই নিয়ে এন্টি মানিলন্ডারিং কাউন্সিলের কাছে মোট ৪৮৮ দশমিক ২৮ মিলিয়ন পেসো ফেরত দিলেন। অংয়ের কাছে থাকা অর্থের ৪ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলার ইন্টার্ন হাওয়াই লেইজার কোম্পানি লিমিটেড ও মিডাস ক্যাসিনোতে অংয়ের এজেন্ট গাও সুহুয়া পরিত্যক্ত অবস্থায় রেখেছিলেন। আইনজীবীর মাধ্যমে গত ১ এপ্রিলে ৪ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলার ফেরত দেন অং। এর তিনদিন পর অর্থাৎ ৪ এপ্রিল ফিলিপিন্স এন্টি মানিলন্ডারিং কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী জুলিয়া বাচায়-আবাদের কাছে আরো ৩৮ দশমিক ২৮ মিলিয়ন পেসো ফেরত দেন তিনি। এছাড়া গত ১৮ এপ্রিল ২০০ মিলিয়ন পেসো ফেরতের পর বাকি ২৫০ মিলিয়ন পেসো ফেরত দিলেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন