শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

‘সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের বিচার না হলে ভোটের মাঠেই হবে ফয়সালা’

ময়মনসিংহে টঙ্গী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে ইত্তেফাকুল উলামা নেতৃবৃন্দ

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:২৯ পিএম

ময়মনসিংহে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে সাদ’পন্থিদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৃহত্তর ময়মনসিংহের আলেম-উলামাদের অরাজনৈতিক সংগঠন ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী। সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, অবিলম্বে সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে বিচার করা না হলে ভোটের মাঠেই এর ফয়সালা হবে। বক্তারা আরো বলেন, পহেলা ডিসেম্বর ইজতেমা ময়দানে নিরীহ মাদরাসা ছাত্র ও মুসুল্লীদের ওপর অতর্কিত হামলাকারীরা তাবলীগের কেউ নয়। এরা মুখোশধারী গডফাদারদের লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী। এরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সারাদেশে অস্থিতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে তৎপর রয়েছে। তাদের উগ্রতা ও মারমুখী আচরণে দেশবাসী উদ্বিগ্ন। তাই সাদপন্থীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে তাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হোক।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর কৃষ্ণচূড়া চত্ত্বরে ইত্তেফাকুল উলামা জেলা শাখার উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ সা’দী আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে 'সাদপন্থীদের ব্যারিস্টার' আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী ফতোয়া দিলেও টঙ্গী ময়দানে সাদপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে কোন প্রতিবাদ করেননি। পক্ষান্তরে তিনি বিভিন্ন ভাবে সাদপন্থীদের পক্ষাবলম্বন করেছেন। তাই ময়মনসিংহের সকল মাদরাসায় ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ও তাঁর সকল ধরনের কর্মকান্ডকে বয়কট করার ঘোষনা দেন।
সংগঠনের জেলা সভাপতি মুফতি মুহিব্বুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মঞ্জুরুল হকের সঞ্চালনায় এ প্রতিবাদ সমাবেশে টঙ্গী ময়দানে হামলার লোমহর্ষক বিবরণ উপস্থাপন করেন বক্তব্য রাখেন টঙ্গী দারুল উলূমের মুহতামিম মাও. মুহতামিম মাসুদুল করীম ও মাও. হেলাল উদ্দিন।
সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাও. আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, মাও. খালেদ সাইফুল্লাহ সা'দী, মাও. আবুল কালাম আজাদ, মুফতি মুহিবুল্লাহ, মাও. জাকারিয়া, মাও. মুহাম্মদ, মুফতি মাহবুবুল্লাহ, মাও. মুখলেসুর রহমান, মাও. মফিজুল ইসলাম, মাওলানা আমীর ইবনে আহমদ প্রমুখ। এ সময় উলামা ও তাবলিগের মুরুব্বিদের পক্ষ থেকে ঘোষিত ৬ দফা দাবি পেশ করে সরকারকে তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার জন্য জোর দাবি জানানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
আবু আব্দুল্লাহ ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:২৯ পিএম says : 0
এ হামলা আমার কাছে লাগি বৈটার হামলার মত মনে হয়েছে
Total Reply(0)
আফলাক উদ্দিন ফকির ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:২৯ পিএম says : 0
এরেই কয় চোরের মার বড় গলা।সাদ পন্থীদের সকল কাজে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করে তা ভন্ডুল করে আবার তাদের উপর দোষ চাপিয়ে তাদের বিচার চাওয়া।সাদ পন্থী সত্তর বছরের নিরীহ মুসল্লিকে কুপিয়ে হত্যা করে দেশের সর্বত্র নিজেরা নির্যাতিত হওয়ার বিবরন দিয়ে বেড়াচ্ছে। মিথ্যাবাদীদের জন্য পাওনা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট জমা আছে।
Total Reply(0)
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় মুসলিম ভাইরা, দাওয়াতে তাবলিগ হচ্ছে নবী ওয়ালা একটা মহান কাজ। তাই এই মহৎ কাজটি হতে হবে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ মোতাবেক অর্থ্যাৎ সম্পূর্ণ কোরআন ও হাদিস মোতাবেক। এটা কারোও ব্যাক্তিগত মনগড়া মওয়াফিক পরিচালনার জিনিস নয়। কেউ যদি এটাকে নিজের মনগড়া পরিচালনা করে তাহলে সে পথভ্রষ্ট হবে। এখন মনে হতে পারে যে একজন বুজুর্গের ছেলে কিভাবে পথভ্রষ্ট হবেন এটি আবার কোন ধরনের কথা? এই প্রশ্নকারীদের কে বুঝানোর জন্য উদাহরণ স্বরুপ বলছি যে -একজন নবীর ছেলে হয়ে/ কেউ নবীর স্ত্রী হয়ে/ কেউ নবীর পিতা হয়ে ও যদি পথভ্রষ্ট হতে পারে, তাহলে একজন বুজুর্গের ছেলে হয়ে পথভ্রষ্ট হওয়াতো স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই আমাদের জন্য উচিত তাবলিগ এর কাজ এমনভাবে করা যাতে কোরআন ও হাদিস মোতাবেক হয়। যারা কোরআন ও হাদিসকে ভূল ব্যাখ্যা দেয় বা অমান্যকরে তাদেরকে পরিহার করা। বরং তাদের কে বুঝাইয়া হাতে পায়ে ধরে হলেও সঠিক পথে নিয়ে আসা। তবে সাবধান হেকমতের সাথে বুঝাইতে হইবে, কাউকে কোন প্রকার কষ্ট দেওয়া যাবে না। কারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়া কোন মুসলমানের কাজ নয়। এখন প্রশ্ন হলো কারা কোরআন ও রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিস ও সুন্নাহ বুঝে ও মেনে অনুসরণ করে তাবলীগ করতেছেন? উওর হলো কোরআন ও হাদিস যারা বুঝে অর্থাৎ ওলামায়ে কেরামগন ও তাদের কে এতায়াতকারী তাবলীগ এর সাথীগন, কারণ ওলামায়ে কেরামগন নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওয়ারিশ, তাই এরাই হতে পারেন হক্বের ঝান্ডা বহনকারী নবীজীর আদর্শের অনুসারী। ওলামায়ে কেরামগন কে অমান্যকরে ইসলামের সঠিক তাবলিগী কাজ কল্পনা করা যায় না, যেমন প্রাণবিহীন জীব হতে পারে না। ওলামায়ে কেরামগন হলেন দীন ইসলামের ইন্জিন আর দাওয়াতে তাবলীগ হচ্ছে একটা ডাব্বা। কেউ যদি মনে করেন ইন্জিন ছাড়া গাড়ি চালাবেন এটা যেমন অসম্ভব তেমনি ওলামায়ে কেরামগন ছাড়া দীন্ অকল্পনীয়। কারণ ওলামায়ে কেরামগনরা হলেন বর্তমান জমানার ধারক বাহক। ওলামায়ে কেরামের দেখানো রাস্তা ছেড়ে তাবলীগের কাজে মনগড়া ফতোয়া দিয়ে তাবলীগ করলে পথভ্রষ্ট শয়তানের দেওয়া রাস্তা প্রশস্ত হয়ে যাবে, যার ফলে বিপথগামী হওয়া সহজ হয়ে যাব। মনে রাখতে হবে একজন আলেম পথভ্রষ্ট হতে পারে, তবে লক্ষ লক্ষ আলেমরা একসাথে পথভ্রষ্ট হতে পারেন না। লক্ষ লক্ষ আলেম পথভ্রষ্ট হলে দুনিয়া সাথে সাথে ধবংস হয়ে যাবে। এটা কখনও হতে পারে না। আরেকটা কথা মনে রাখতে হবে যে দাওয়াতে তাবলীগ কোন ব্যাক্তির মৌরশী সম্পদ নয়, তাই এই কাজ করতে কোন ব্যাক্তির মোহতাজ নয় , এটি নবী ওয়ালা কাজ তাই নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামদের অনুসরণ করে করতে হবে। তাই আমরা সকলেই সব বিভেদ ভূলে গিয়ে একসাথে মিলেমিশে ওলামায়ে কেরামদের অনুসরণ করে দাওয়াতে তাবলীগ এর কাজ করি। আল্লাহ পাক আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করে সঠিক ও হক্ব ভাবে দীনের কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Total Reply(0)
M.d rakibul islam ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৪৪ এএম says : 0
Ami sadh ponthi buji na abar sofi ponthi o bujina amra musolman musolman vhai vhai tai ei dondho na korai valo
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন