জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিনতাই ও যৌন নিপিড়নের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাসহ মোট ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদের মধ্যে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকায় ছাত্রলীগনেতাসহ ৩ ছাত্রলীগকর্মীকে ২ বছরের জন্য বহিস্কার, আর যৌন নিপিড়নের ঘটনায় জড়িত থাকায় একজনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক দুটি অফিস আদেশের মাধ্যমে তাদের বহিস্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
ছিনতাইয়ের ঘটনায় বহিষ্কৃতরা হলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মাজেদুল হাসান এবং ছাত্রলীগের কর্মী দর্শন বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের ছাত্র আশরাফুল ইসলাম ও ভ‚তাত্তি¡ক বিজ্ঞান বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের মো. রায়হান পাটোয়ারী। তারা সবাই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
অফিস আদেশে বহিষ্কারের পাশাপাশি এই ৩ জনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং শাস্তি চলাকালীন ক্যাম্পাসে দেখা গেলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখনও রবিন ও রায়হান পাটোয়ারী হলে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে দ্বীপ হলে না থাকলেও ক্যাম্পাসে তার যাতায়াত আছে।
এদিকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের এই তিন কর্মী বহিস্কার হওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি শাখা ছাত্রলীগ। এই বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপাতি জুয়েল রানা বলেন, ‘কোন অপরাধী বা ছিনতাইকারীর স্থান ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হবে না। অন্যায় যে করবে তার শাস্তি হবেই। আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
অন্যদিকে ভর্তিচ্ছু এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের নাসিম ঐশ্বর্য আহমেদকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া উচ্চতর তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন