এটি এক ধরনের হিমোলাইটিক এনিমিয়া অর্থাৎ লোহিত রক্ত কণিকা ভেঙ্গে যাওয়া রোগ। আমাদের শরীরে তিন ধরনের রক্তকনিকা থাকে। লোহিত রক্তকনিকা, শ্বেতরক্তকনিকা ও অনুচক্রিকা। লোহিত কনিকা দ্বি-অবতল এবং এর ভেতরে হিমোগ্লোবিন থাকে। স্ফেরোসাটোসিসে লোহিত রক্তকনিকা ছোট হয়ে যায় এবং স্বাভাবিক বক্রতা থাকে না। এর ফলে লোহিত রক্তকনিকা ভংগুর হয়ে পড়ে এবং স্বাভাবিক আয়ুর আগেই ধ্বংস হয়। স্ফেরোসাইটোসিস জীনের ক্রুটির কারনে হয়। বাবা-মার অসুখটি থাকলে সন্তানদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। ইউরোপের উত্তরাংশে স্ফেরোসাইটোসিস বেশী হয়।
স্ফেরোসাইটোসিসে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায় ঃ
১। জন্ডিস, ২। ক্লান্তি, ৩। মাংসপেশীতে ব্যথা, ৪। রক্তস্বল্পতা, ৫। হার্ট রেট বৃদ্ধি পাওয়া, ৬। যকৃত, প্লীহা আকারে বৃদ্ধি পাওয়া। ৭। অস্থিরতা।
৮। শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট ইত্যাদি।
চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা এবং রক্ত পরীক্ষা করে স্ফেরোসাইটোসিস ডায়াগনসিস করেন। রক্ত পরীক্ষা করলে স্ফেরোসাইট পাওয়া যায়। লোহিত রক্ত কণিকা ভেঙ্গে যাওয়া রোগ হিমোলাইটিক এনিমিয়াতে রক্তের যে পরিবর্তন হয় স্ফেরোসাইটোসিস অসুখেও একই পরিবর্তন হয়।
মৃদু অবস্থায় সার্জারী ছাড়াও এই অসুখের চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু অসুখ তীব্র হলে সার্জারির মাধ্যমে স্পøীন বা প্লীহা কেটে ফেলা হয়। তবে ৫ বছরের নিচের বাচ্চাদের সার্জারি করা হয়না। তখন শুধু ফলিক এসিড দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এছাড়া ফটোথেরাপী করলেও জন্ডিসের প্রকোপ কিছু কমে। স্ফেরোসাইটোসিসেরত প্রকোপ আমাদের দেশে খুব বেশী না।
ষ ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন