শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সন্ধান মেলেনি শিশু জান্নাতীর পিতা-মাতার আজীমপুরে ছোটমনি নিবাস কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ

প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নরসিংদী থেকে স্টাফ রিপোর্টার : পথিমধ্যে কান্নারত অবস্থায় কুড়িয়ে পাওয়া ৫ বছরের শিশু জান্নাতীর পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন ও ঠায়-ঠিকানা কিছুই খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ৩ দিন থানা পুলিশের হেফাজতে থাকার পর গত বৃহস্পতিবার জান্নাতীকে আজিমপুর ছোটমনি নিবাস আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার পিতা-মাতার সন্ধান না পাওয়া গেলে ছোটমনি নিবাসই হবে জান্নাতীর শেষ আশ্রয়স্থল। নরসিংদী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা তাকে ছোটমনি নিবাসে পাঠিয়ে দিবে।
জানা গেছে, গত ২ মে সোমবার সকালে শিশু জান্নাতী শিবপুর উপজেলার চৌঘরিয়া গ্রামে একটি রাস্তায় একাকী কান্নাকাটি করছে। এ সময় পার্শ্ববর্তী বাড়ীর আফতাব উদ্দিনের ছেলে কিরন মিয়া মেয়েটিকে রাস্তা থেকে কোলে তুলে বাসায় নিয়ে যায়। কিরন মিয়া তাকে বাসায় নিয়ে তার বাড়ির ঠিকানা সম্পর্কে জানতে চাইলে জান্নাতী জানায়, তার নাম জান্নাতী, পিতার নাম মুকুল এবং মায়ের নাম সুমী, তার বাড়ী নরসিংদীতে। কিন্তু তার বাড়ী নরসিংদীর কোন জায়গায় তা সে বলতে পারে না। কিভাবে সে সেখানে গিয়েছে, কে তাকে সেখানে নিয়েছে তাও সে বলতে পারে না। তবে তার পিতা গাড়ী চালায় বলে জানিয়েছে। এ অবস্থায় কিরন শিশু জান্নাতীকে সেদিনই শিবপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। থানা পুলিশ জান্নাতীকে অসুস্থ দেখে শিবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এই অবস্থায় জান্নাতীর সেবা শুশ্রƒষা করেন শিবপু মডেল থানার এসআই শিউলি বেগম ও কনস্টেবল হাসনা হেনা ও রিমা দাস। কুড়িয়ে পাওয়ার সময় শিশুটির পরনে লাল সবুজের বৈশাখী প্রিন্ট জামা এবং সাদা হাফপ্যান্ট ছিল। পুলিশ তার পুরনো পোশাক বদলে নতুন জামা কাপড় পরিয়ে ৩ দিন আদর যতেœ লালন-পালন করে এবং তার ঠিকানা উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ঠিকানা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে গত বৃহস্পতিবার নরসিংদী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে। বিজ্ঞ আদালত পুলিশের বক্তব্য শুনানি শেষে শিশু জান্নাতীকে ঢাকার আজিমপুরের ছোটমনি নিবাস আশ্রয় কেন্দ্রে প্রেরণের নির্দেশ দান করেন।
শিশু জান্নাতীর পিতা-মাতার কোন সন্ধান পাওয়া না গেলে নরসিংদীর সমাজ সেবা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শিশু জান্নাতীকে ছোটমনি আশ্রয় নিবাস কেন্দ্রে প্রেরণ করবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন