নির্বাচনী মাঠ সমতল আছে কিনা তা নিয়ে এতদিন প্রতিদ্ব›দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাগযুদ্ধ চলছিল। ক্ষমতাসীন দলের ভাষায়, নির্বাচনী মাঠ সমতল তো বটেই, একেবার মসৃণ কার্পেটে মোড়া। অন্যদিকে প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপি ও তাদের মিত্রদের অভিযোগ নির্বাচনী মাঠের অবস্থা এবড়ো থেবড়ো; যে মাঠে খেলোয়াড়রা সাবলীল খেলা খেলতে পারবেন না। তবে, ক্ষমতাসীনদের জন্য মাঠটি বিশেষ রোলারের দ্বারা অতীব মসৃণ করে দেয়া হয়েছে। সমতল মাঠ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে বিতর্ক এতদিন প্রতিদ্ব›দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তা খোদ নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরেও প্রবেশ করেছে। আর সে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে কমিশনের অন্যতম সদস্য মাহবুব তালুকদারের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে।
গত ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমি মোটেও মনে করি না নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে কিছু আছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কথাটা এখন অর্থহীন কথায় পর্যবসিত হয়েছে।’ এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, ‘প্রচারে কোনো বাধা নেই। সব প্রার্থী প্রচার চালাতে পারছেন। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে এবং সবাই সমান সুযোগ পাচ্ছে।’ সিইসির এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত কি না জানতে চাইলে মাহবুব তালুকদার উপরোক্ত মন্তব্য করেন। এদিকে গত ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি জেলায় নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য সত্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন। সিইসি তার বক্তব্যে বলেন, ‘একজন নির্বাচন কমিশনারের স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার রয়েছে। তাই তিনি যে কোনো মন্তব্য করতে পারেন। তবে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে তিনি যে কথাটি বলেছেন, তা একেবারে সত্য নয়। নির্বাচনের সামগ্রিক পরিস্থিতি ভালো। তিনি আরো বলেছেন, ‘সারাদেশে উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে বর্তমানে সরকারি দল বা বিরোধী দল নিজেদের মতো করে প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের কি কেউ বাধা দিয়েছে? তার পরও কেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে অভিযোগ আসবে? কিসের ফিল্ড ঠিক নেই? কোথায় ঠিক নেই?’ সিইসির এ বক্তব্যের প্রতিবাদে গত ১৯ ডিসেম্বর গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি দেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। সে বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমার কথা অসত্য- এ কথা বলে সিইসি একজন নির্বাচন কমিশনারের অস্তিত্বে আঘাত করেছেন। তিনি বলেন, একটি কথা মনে রাখতে হবে, সিইসিসহ সব নির্বাচন কমিশনার সমান। এর আগেও সিইসি আমার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নানা ধরনের বিরূপ মন্তব্য করেছেন। কখনো তার কথার প্রতিবাদ করিনি। কিন্তু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই- বলে আমি মিথ্যা বলেছি, এ কথার প্রতিবাদ না করে পারলাম না।’ স্মর্তব্য, নির্বাচন কমিশনের কোনো কোনো সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করে মাহবুব তালুকদার ইতোমধ্যেই সচেতন মানুষদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত এক সভায় ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে সভা ত্যাগ করে আলোচনায় আসেন তিনি। তার যৌক্তিক অবস্থান দেশবাসী ইতিবাচকভাবেই গ্রহণ করেছে।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ও নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের মধ্যকার বাহাস এখন মানুষের মুখে মুখে। সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, একটি নিরেট সত্যকে গণমাধ্যমে তুলে ধরেছেন মাহবুব তালুকদার। চলমান নির্বাচনী মাঠে যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, খালি চোখেই দেখা যায়। এর জন্য বিশেষ পাওয়ারের চশমা বা অনুবীক্ষণযন্ত্রের প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু কেন তা সিইসির দৃষ্টি গোচর হচ্ছে না তা রহস্যজনক। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন বিরোধী দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে ক্ষমতাসীন দলের বাধা দেওয়ার খবর গণমাধ্যমগুলোতে প্রচার-প্রকাশ হচ্ছে। প্রার্থীরা প্রচারে বেরুলেই তাদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সরকারি দলের কর্মীরা। মিছিল মিটিং তো দূরের কথা, এমন কি পোস্টার পর্যন্ত লাগাতে দিচ্ছে না তারা। প্রতিদিন পত্রিকাগুলোতে বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার খবর আসছে। মাইক ভাংচুর, নির্বাচনী অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ, নেতাকর্মীদের মারধর, ভয়ভীতি দেখানো, কোনোটাই বাদ থাকছে না। এসব খবর সংবাদ মাধ্যমের বরাতে দেশের সবাই অবগত। শুধু জানেন না সিইসি। এটা কি অবিশ্বাস্য নয়? তিনি কি পত্রিকা পড়েন না, টিভির খবর দেখেন না? যদি উত্তর হ্যাঁ বোধক হয়, তাহলে কি জনসাধারণ ধরে নেবে যে, মি. নূরুল হুদা জেগেও ঘুমাচ্ছেন? সরকার দলীয় কর্মীদের হামলার পাশাপাশি চলছে পুলিশি অভিযান। প্রতিদিন বিরোধী দলের দেড়-দুই শ’ নেতাকর্মী গ্রেফতারের খবর নিয়ে পত্রিকাগুলো পাঠকের হাতে যাচ্ছে। সবাই বিষয়টি অবগত হলেও সিইসি তা জানেন না, এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?
সিইসি বলেছেন, সারাদেশে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নাকি দলগুলোর প্রর্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছে। হ্যাঁ, সরকারি দলের প্রার্থীরা যে দ্বিগুণ উৎসাহে প্রচারণা চালাচ্ছে সে কথার সাথে হয়তো কেউই দ্বিমত করবেন না। কেননা, তাদের সামনে এখন নির্বাচিত হওয়ার অবারিত সুযোগ। প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির প্রার্থীরা মাঠছাড়া। ফলে ভোটের দিন বাক্স ভরতে তেমন বেগ পেতে হবে বলে মনে হয় না। সিইসি যা-ই বলুন, দেশবাসীর কাছে তা গ্রহণীয় নয় মোটেই। কেননা, তারা নির্বাচনী মাঠের যে অবস্থা প্রত্যক্ষ করছে, তার সাথে সিইসির দেখা মাঠের কোনো মিল নেই। সিইসি দেখছেন সব প্রার্থীকে ‘বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায়’ প্রচার চালাতে, আর দেশবাসী দেখছে মাঠে শুধু ক্ষমতাসীন দল আছে, বিরোধী দরের প্রার্থীরা বিরস বদনে বসে আছে যে যার ঘরে। সেখানেও কি স্বস্তি আছে? রাত হলেই দরজায় কড়া নাড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ‘কর্তব্য পরায়ন’ সদস্যরা। মামলার আসামি ধরার এই তো উপযুক্ত সময়। ফলে নিজ এলাকা থেকেও পালিয়ে যেতে হচ্ছে বিএনপির মাঠকর্মীদের।
এখানে আমি আমার অভিজ্ঞতার কথা সহৃদয় পাঠকের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। বিজয় দিবসের দিন গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় আসার পথে আমি মোট পাঁচটি নির্বাচনী এলাকায় গিয়েছি। মুন্সিগঞ্জ-১, ২ ও ৩ এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা চোখে পড়লেও বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। নৌকা মার্কার মাইকের আওয়াজে কানে তালা লাগার অবস্থা হলেও ধানের শীষের কোনো সাড়াশব্দ পাইনি। দু’য়েকটি জায়গায় ছিটেফোঁটা পোস্টার দেখা গেলেও নির্বাচনী কোনো ক্যাম্প দেখা যায়নি। রিকশা থামিয়ে লোকজন কে জিজ্ঞেস করেছি। তারা বলেছে, কীভাবে পোস্টার লাগাবে? রাস্তায়ইতো নামতে দেয় না। এ অবস্থা সারা দেশে। কোথাও বিএনপি প্রার্থীরা মাঠে নামতে পারছে না। নামতে চাইলেই বাধা দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন বলেছিল, শিডিউল ঘোষণার পর ‘বিনা কারণে’ কাউকে গ্রেফতার করবে না পুলিশ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে পুলিশ বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের দেদারছে গ্রেফতার করছে। আর এসব গ্রেফতারের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে নাশকতার মামলার কথা। নির্বাচনী মাঠের পরিস্থিতি ও ইসির ভূমিকা নিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদকীয় নিবন্ধে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে সিইসির মন্তব্যকে বছরের সেরা কৌতুক হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। মন্তব্যটি যে যথার্থ তা নিয়ে কারো দ্বিমত আছে বলে মনে হয় না। যেখানে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসের কারণে বিরোধী দল মাঠে নামতে পারছে না, সেখানে সিইসি দেখেন সমতল মাঠ! প্রতিনিয়ত যেখানে বিরোধী প্রার্থীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে তিনি বলছেন, সবাই প্রচারণা চালাচ্ছে, কোনো বাধা নেই। যদি বলা হয় সিইসি জেগে ঘুমাচ্ছেন, তাহলে কী খুব ভুল বলা হবে?
প্রধান নির্বাচন কমিশনার যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, তা যে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, পক্ষপাতহীন নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয় সেটা না বললেও চলে। তার এ অবস্থান নিরপেক্ষতার সম্পূর্ণ বিপরীত। সিইসি বা নির্বাচন কমিশনের বিগত দিনের তৎপরতার আলোকে অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন যে, এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন সম্ভব হবে না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নির্বাচন কমিশনের জন্য অগ্নিপরীক্ষা বলে অভিহিত করেছিলেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ। গত ২০ নভেম্বর একটি দৈনিকে ‘অগ্নিপরীক্ষায় ইসি’ শিরোনামে যে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, তাতে দেশের বিশিষ্টজনেরা বলেছিলেন, এবার ইসির সামনে অগ্নিপরীক্ষা। তারা যথাযথ সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সব সম্ভাবনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাবে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম. সাখাওয়াত হোসেন (অব.) মন্তব্য করেছিলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ভোটের মাঠের নিয়ন্ত্রণ ইসির হাতে থাকবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে যা বোঝায় তার কিছুই এখনও তৈরি হয়নি। এ পরিস্থিতিতে কীভাবে সুষ্ঠু ভোট করবেন তা ইসি সদস্যরাই ভালো বলতে পারবেন।’ সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছিলেন, ‘তফসিল ঘোষণা থেকে এ পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপে বলা যায় ইসি সঠিক পথে নেই। তফসিলের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেওয়া সব পদক্ষেপের দায়দায়িত্ব ইসির ওপর বর্তায়। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পরেও গায়েবি মামলা দায়ের অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে ইসির পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়নি।’ আর সিইসি নূরুল হুদা সে সময় নির্বাচনের রিটানিং অফিসারদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, ‘এবার নতুন প্রেক্ষাপটে ভোট হচ্ছে। এই নির্বাচনের সার্থকতার ওপর ভবিষ্যতে দলীয় সরকার বহাল রেখে নির্বাচন হবে কি না তা নির্ভর করছে।’
এক মাস আগে যে বিষয়টি সিইসির উপলব্ধিতে ছিল এখন বোধকরি তা নেই। না হলে প্রতি পলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সরকারি দলের সমর্থক-কর্মীদের বিরোধী দলীয় প্রার্থীর সমর্থক-কর্মীদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনাগুলোকে এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলতে পারতেন না-নির্বাচনের অনুকুল আবহ তৈরি হয়েছে। তাছাড়া বিশিষ্টজনেরা সে সময় যে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছিলেন তা কি যথার্থ ছিল না? কেউ কি বলতে পারবেন, নির্বাচনী মাঠের নিয়ন্ত্রণ ইসির হাতে রয়েছে? যদি থাকত তাহলে বিরোধী দলের প্রার্থীরাও সমানভাবে প্রচারণা চালাতে পারতো। কিন্তু তা হচ্ছে না। বরং অব্যাহত গ্রেফতার অভিযান গোটা দেশকে বিএনপি নেতাকর্মীশূন্য করে ফেলার উপক্রম করেছে।
এ পরিস্থিতি কোনো গণতন্ত্রমনস্ক মানুষের কাম্য নয়। তারা সমতল মাঠে একটি সুন্দর প্রতিযোগিতা দেখতে চায়। কিন্তু সরকারি দলের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ এবং নির্বাচন কমিশনের একচোখা নীতি সে প্রত্যাশার আলো নিভিয়ে দিচ্ছে। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি এবং সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির যে আশ্বাস সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে দলগুলোকে দেওয়া হয়েছিল, তার বেহাল অবস্থা দর্শনে দেশবাসী যারপর নাই হতাশ। আর এমনি প্রেক্ষাপটে সিইসি ও ইসি মাহবুব তালুকদারের প্রকাশ্য বিতন্ডাকে সচেতন ব্যক্তিরা অশুভ আলামত হিসেবেই দেখছেন। এ ধরনের দ্ব›দ্ব নির্বাচনী পরিবেশকে শেষ পর্যন্ত কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় তা নিয়ে সবাই শঙ্কিত।
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন