ইন্টারভিউয়ের নাম শুনলে হার্টবিট বেড়ে যায়। টেনশনে হয় মুখ লাল। খাবারও মুখে যায় না। হয়তো বারবার বাথরুমও পেয়ে বসে। প্রশ্ন কর্তার প্রশ্নের উত্তর সব জানি। তারপরও সব এলোমেলো হয়ে যায়। অনেকেরই এমনটা হয়। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার কি উপায়? কীভাবে ভালো ইন্টারভিউ দেয়া সম্ভব।
এক. যে কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একটু জেনেশুনে নিন। ইন্টারনেট থেকে জানতে পারেন।
দুই. প্রশ্নকর্তার মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। চোখে চোখ রাখুন। মুখে মৃদু হাসি লাগিয়ে রাখুন।
তিন. চেয়ারে সোজা হয়ে বসবেন। হাতলের উপরে হাত রাখুন। বুকে হাত বাধা অশোভনীয়। চেয়ারে গা এলিয়ে বসবেন না।
চার. বাহুল্য পরিহার করুন। প্রশ্নের যতটুকু উত্তর ততটুকু বলুন। বেশি কথা বলা যাবে না।
পাঁচ. প্রশ্নের জবাব না জানলে জানি না বলুন। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে উত্তর দেয়ার প্রয়োজন নেই।
ছয়. আপনাকে বিব্রত করার জন্য প্রশ্নকর্তা উদ্ভট প্রশ্ন করতে পারেন। এমন প্রশ্নে ঘাবড়াবেন না। তিনি অট্টহাসি দিতে পারেন। আপনি আবার তার সাথে শব্দ করে হাসতে যাবেন না।
সাত. নেগেটিভ উত্তর পরিহার করুন। আত্মবিশ্বাসের সাথে পজেটিভ উত্তর দিন।
আট. যে পদে ইন্টারভিউ দেবেন। সে পদের কাজ কি তা জেনে নিন।
নয়. নিজের তিনটি গুণ এবং দোষ মাথায় রাখুন।
দশ. আপনার বর্তমান কর্মস্থলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কি সেটা মনে রাখবেন।
এগার. হাই তুলবেন না। কথা বলার সময় হাত নাড়াবেন না। মাথার চুলেও হাত দেয়া যাবে না। স্বাভাবিক থাকতে হবে।
বার. টেনশনকে না বলুন। ইন্টারভিউ, তাই এ নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন করা যাবে না। মানসিক চাপ পরিহার করুন। যোগ্যতা থাকলে চাকরি হবে। না হলেও ক্ষতি নেই। মনে মনে এমনটা ভাবুন।
তের. ইন্টারভিউতে কী জিজ্ঞাসা করতে পারে সেরকম কিছু প্রশ্নের জবাব কাগজে লিখুন। বারবার পড়–ন। নিজের ইন্টারভিউ নিজেই নিন। বাসায় বউকে কাগজটা দেখে আপনার ইন্টারভিউ নিতে বলতে পারেন।
চৌদ্দ. ইন্টারভিউ স্থলে সময় মতো পৌঁছান। এ জন্য একটু আগেই বের হন। কোনোক্রমে যেন দেরি না হয়।
পনের. আপনার রুমে ঢোকা, কথাবার্তা, বসা, চাওনিÑ সব কিছুর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের উপস্থিতি থাকতে হবে। ছোট শব্দে থেমে থেমে প্রশ্নের জবাব দিন। রিডিং পড়ার মতো যেন জবাব না হয়।
ষোল. সাবধানি আচরণে বেতন নিয়ে দরকষাকষি করুন। এত বেতন না হলে চাকরি করবই না এমনটা বলবেন না। বরং এখন এত বেতন পাই। এখানে এত বেতন প্রত্যাশা করি। এখন আপনাদের বিবেচনা। ফাইনালি সিলেক্ট হলে তখন চূরান্ত দরকষাকষি করবেন।
সতের. বর্তমানে যে প্রতিষ্ঠানে আছেন সেটা, সেখানের বসদের বিষয় কোনো নেগেটিভ কথা বলবেন না। ভালো সুযোগ-সুবিধার আশায় বর্তমানের কর্মস্থল ছাড়তে চাচ্ছেন সেটা বলুন।
আঠের. প্রশ্নকর্তা ইংরেজিতে প্রশ্ন করলে ইংরেজিতে জবাব দিন। বাংলার মধ্যে ঘন ঘন অপ্রচলিত ইংরেজি শব্দ পরিহার করুন।
উনিশ. যতটুকু কথা বলবেন অবশ্যই গুছিয়ে বলবেন। বর্তমানে আপনি কী কাজ করছেন সেটা গুছিয়ে লিখে মুখস্থ করে যাবেন।
বিশ. পোশাক-পরিচ্ছেদ সাজসজ্জা অবশ্যই রুচিশীল মার্জিত শালীন হতে হবে। এমন পোশাক পরবেন না যেটা আপনার সাথে মানায় না। চুল ছোট হলে ভালো।
স লাবিবা বেলা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন