শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

নিকোটিন থেকে বাঁচান

চিঠিপত্র

হিমু চন্দ্র শীল | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

৯৫ শতাংশ শিশুর শরীরে নিকোটিন! ভাবুন তো যে পুঁচকেরা নিকোটিন কী তা জানে না, তাদেরই খুদে শরীরে এই বিষাক্ত পদার্থটি জায়গা করে নিয়েছে। পুঁচকেদের কথা বাদই দিলাম, আমরা বড়রাই-বা ক’জন এগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছি? নিকোটিন হলো এক ধরনের ঘাতক পদার্থ, যা সিগারেটের ধোঁয়ার মধ্যে থাকে। কিন্তু অন্য কোনো ধোঁয়ার মধ্যে থাকে না। ধূমপান দু’ভাবে হয়- এক. জ্বলন্ত সিগারেটের ধোঁয়া; দুই. ধূমপায়ীর মুখের ভেতর থেকে নির্গত ধোঁয়া। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড থেকে প্রকাশিত নিকোটিন অ্যান্ড টোব্যাকো রিসার্চ সাময়িকীর প্রতিবেদনে ঢাকার ১২টি স্কুলের ৪৭৯ জন শিশুর লালার মধ্যে ৪৫৩ জনের লালায় এই ঘাতক ব্যাধি পাওয়া যায়। স্কুল পড়ূয়াদের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে যারা স্কুলে যায় না তাদের কী করুণ অবস্থা হবে? শিশুদের শরীরে নিকোটিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আমরা যারা ধূমপান করি না তারা মোটেও নিরাপদ নয়। ধূমপায়ী বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে কিংবা জনসমক্ষে, রাস্তাঘাটে আমরা প্রতিনিয়ত পরোক্ষ ধূমপানের স্বীকার হই। একজন ধূমপায়ীর সঙ্গে যদি আর একজন অধূমপায়ী এক ঘণ্টা থাকে, তাহলে সে যে পরিমাণ ডাইমিথেন নাইট্রোসামাইন নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করবে, তা ৫০টি সিগারেটের সমান। অধূমপায়ী হয়েও আমরা প্রতিদিন পরোক্ষভাবে ধূমপানের স্বীকার হচ্ছি। মাদক জগতে পা রাখার সোপান হলো ধূমপান। কারণ প্রতিটি মানুষের কৈশোরে অজানাকে জানার আগ্রহ থাকে। তখন তারা প্রকাশ্যে ধূমপান দেখে কৌতূহলী হয়ে ওই নেশাটার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়। তাই আমাদের তরুণদেরই সোচ্চার হতে হবে মাদক কিংবা পরোক্ষ ধূমপানের বিরুদ্ধে। রক্ষা করতে হবে ভবিষ্যৎকে।
শিক্ষার্থী, কক্সবাজার সরকারি কলেজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন