শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চিনের বাধা সত্ত্বেও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তদন্তে প্রস্তাবিত অর্থ পাশ জাতিসংঘে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:৪২ পিএম

জাতিসংঘের উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের চালানো জাতিগত নিধনের ঘটনা তদন্তের জন্য প্রস্তাবিত তহবিল কাটছাঁটের প্রচেষ্টা নিয়েছিল চিন। তবে সদস্য দেশগুলোর প্রচেষ্টায় প্রস্তাবিত অর্থের সবটাই বরাদ্দ করতে সক্ষম হয়েছে জাতিসংঘ। পথে তবে সদস্য দেশগুলো সে প্রচেষ্টা প্রতিহত করেছে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মানবাধিকার প্রশ্নে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তদন্তে বাধা সৃষ্টির প্রচেষ্টা নিয়েছিল চিন। চিন ও রাশিয়ার এ ধরনের অবস্থান রুখে দিতে সজাগ থাকার জন্য জাতিসংঘের সদস্য দেশ, ওআইসির মতো আঞ্চলিক সংস্থাগুলো ও জাতিসংঘের মহাসচিবকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
গত বছরের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সাত লাখেরও বেশি মানুষ। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে বিচার শুরুর জন্য আলামত সংগ্রহে সেপ্টেম্বরে একটি আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ গঠনের পক্ষে ভোট দেয় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল।
এ বছরের শুরুতে জাতিসংঘের সত্য অনুসন্ধান মিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা সংঘটিত করেছে। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আমি (আরসা), সরকারি বাহিনী এবং শান ও কাচিন রাজ্যের বিদ্রোহী সংগঠনগুলো কর্তৃক সংঘটিত হামলার ঘটনাগুলোও তদন্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। সেই তদন্তের জন্য ২ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব করেছিল জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের বাজেট কমিটি। ম্যারাথন আলোচনার পর চিন সে বাজেট কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেয়। তবে চিনের সে প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার বরাদ্দ অনুমোদন হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিন রোহিঙ্গা সংকটের ব্যাপারে খুবই নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। নিরাপত্তা পরিষদ এ নিয়ে বেশ কয়েক বৈঠক করলেও এবং বিবৃতি দিলেও মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও চাপ সৃষ্টির ঘোর বিরোধী চিন। নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী দেশগুলো ভেটো প্রদানের ক্ষমতা থাকলেও সাধারণ পরিষদে সে ব্যবস্থা নেই। একই কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তদন্তে তহবিল জোগাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সুইজারল্যান্ড এবং ওআইসির পক্ষ থেকে কুয়েতের নেওয়া প্রচেষ্টা রুখে দিতে পারেনি চিন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন