বরিশাল জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন প্রার্থীদের করা অভিযোগের মধ্যে সুনির্দিষ্ট ১০টি অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়ার রহমান। নির্বাচনী অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য নির্বাচনী অভিযোগ তদন্ত কমিটি ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে পাঠান হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রচারণার মাঝামাঝি সময় থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘন, প্রচারে বাধা, হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে জেলার ৬টি আসনের প্রার্থীরা লিখিত অভিযোগ দেন। তবে বেশিরভাগ অভিযোগ দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা। কিন্তু ভোট গ্রহণের শেষ প্রান্তে এসে এসব তদন্তের জন্য পাঠানো হল।
অভিযোগগুলোর মধ্যে বরিশাল-৪ আসনের বর্তমান এমপি পঙ্কজ নাথ-এর বিরুদ্ধে রয়েছে দুটি। এর একটি করেছেন বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ ও অপরটি করেছেন ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জে এম নুরুর রহমান। নুরুর রহমান গণসংযোগের জন্য বিএনপির এক নেতার বাড়িতে অবস্থানকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রার্থীসহ সমর্থকদের পিটিয়ে আহত করেছে। এরপর থেকে নুরুর রহমান এলাকাছাড়া। কোনো কর্মীও এলাকায় নেই। প্রচারণাও প্রায় বন্ধ।
এছাড়া বরিশাল-৬ আসনে সিংহ মার্কার স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. আলী তালুকদার অভিযোগ করেছেন, বর্তমান এমপি ও জাপার প্রার্থী নাসরিন জাহান রত্না আমিন এবং তার স্বামী রুহুল আমিন হাওলাদার এমপির বিরুদ্ধে। প্রার্থী মো. আলী তালুকদার অপর অভিযোগ করেছেন বাকেরগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে।
এছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে আরো ২টি অভিযোগ দেয়া হয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। দুটি অভিযোগই করেছেন বরিশাল-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী মুজিবুর রহমান সারওয়ারের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মো. মহসিন মন্টু। তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধেও দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। বরিশাল-৫ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় হামলা ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে। বরিশাল-৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী নির্বাচনী সমন্বয়ক ও বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক মো. মহসিন মন্টুকে বুধবার বিকেলে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
বরিশালের রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, প্রার্থীদের কাছ থেকে যখন যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা তখনই খতিয়ে দেখা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট ১০টি অভিযোগের তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচনী আচরণবিধি তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন