আশাশুনি (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। ফলে চিংড়ি মাছের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঘের মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা, শোভনালী, কুল্যা, কাদাকাটি, দরগাহপুর, বড়দল, আশাশুনি সদর, শ্রীউলা, খাজরা, আনুলিয়া ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের অধিকাংশ মাছের ডিপো, মাছের সেট ও নির্দিষ্ট বাড়িতে চিংড়ি মাছে পুশ করা হয়ে থাকে। বিশেষ ঘরের মধ্যে নারী, পুরুষ ও বাচ্চারা ময়দা, আটা, এরারুট বা বিশেষ দ্রব্য পানির সাথে মিশিয়ে ইঞ্জেকশানের সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাছে পুশ করে থাকে। এরপর পুশকৃত মাছ ড্রামে ভিজিয়ে রাখা হয় এবং বরফ দিয়ে মাছ বহনের জন্য তৈরি বিশেষ প্লাস্টিকের পাত্রে পলিথিন পেপারে মাছ মুড়িয়ে খুলনা, ঢাকা, চিটাগাংসহ বিভিন্ন স্থানে ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হয়। ফলে এসব মাছে ব্যাক্টেরিয়াসহ নানা পয়জানের কারণে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে থাকে। আশাশুনি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি ও উপজেলা পরিষদের গত মাসিক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং বরফ মিলের বরফের মান নির্ণয় ও পুশ বন্দে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পুশ রোধ করতে ফ্যাক্টরিগুলোতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এব্যাপারে স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল কোর্টের পাশাপাশি ফ্যাক্টরির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন