আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ) আসনে ধানের শীষ ও নৌকা প্রতীকের কোন প্রার্থী নেই। এ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমর্থিত এবং বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী সৈয়দপুর পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকারের প্রার্থিতা স্থগিত করা হয়েছে। হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে এ আদেশ দেওয়া হয়। এর ফলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য গেছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে। তার প্রার্থিতা স্থগিত হওয়ায় স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে গোটা নির্বাচনী এলাকা। শহরের সর্বত্র আলোচনার মূল বিষয়বস্তু এখন হচ্ছে তার (আমজাদ হোসেন) প্রার্থিতা স্থগিতের বিষয়টি। এমতাবস্থায় এখন একাই ভোটের মাঠ দখলে রেখেছেন মহাজোট থেকে জাপা মনোনীত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান আদেল। ফলে এ আসনে এবারে নির্বাচনী আমেজ উত্তাপ নেই বললেই চলে।
এ আসনের সংসদ সদস্যের মর্যাদা অন্য এমপিদের তুলনায় একটু বেশিই বলে মনে করেন সাধারণ ভোটাররা। নীলফামারী-৪ আসনটি বরাবর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দখলে ছিল। গত দশটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী চারবার জাতীয় পার্টির (এ) প্রার্থী চার ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দুইবার বিজয় লাভ করে।
গত দশম সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৪ আসনে মহাজোটের লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে প্রধানত আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিও (এ) প্রার্থীরা ভোট যুদ্ধ করেছিল। সে বারের ভোটের ফলাফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কর্ণেল (অব.) এ এ মারুফ সাকলান ৮৭ হাজার ৭২৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিল জাপার প্রার্থী শওকত চৌধুরী। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৭০ হাজার ২৩৭। আর বিএনপির প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকার ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ৬০ হাজার ২১৪। সেই হিসাবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মিলে নীলফামারী- ৪ আসনে ভোট সংখ্যা দাঁড়ায় এক লাখ ৫৭ হাজার অর্থাৎ বিএনপির প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে মহাজোটের ভোট আড়াই গুণেরও বেশি। এ কারণে ভোটাররা বলছেন আগামী ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী -৪ আসনে মহাজোটের প্রার্থীর জয়ী হওয়ার সম্ভবনাই বেশি। তারপরও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনপিপি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী না থাকায় ভোট যুদ্ধের মাঠে রয়েছেন মহাজোটের আহসান আদেলুর রহমান আদেল (প্রতীক লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা শহিদুল ইসলাম (প্রতীক হাতপাখা), ভাসানী ন্যাপের চেয়ারম্যান ও ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি) মনোনীত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার (প্রতীক আম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ (প্রতীক সিংহ)।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন