বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

জামালপুরে সাংবাদিকসহ যুবদল নেতার বাড়িতে হামলা-ভাংচুর

জামালপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২০ পিএম

জামালপুরে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা বিল্লাল, ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন জনিসহ আরো কয়েকজনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়াও জামালপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, গেইট ভাংচুর করেছে এবং সাংবাদিক মেজবাহ উদ্দিন শাকিলের কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে রামদা দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কাচারীপাড়া এলাকায় এই হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এদিকে জেলা যুবদল নেতার বাড়িসহ সাংবাদিকদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত ও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে ওইসব পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী। পুনরায় আক্রমনের ভয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে জানান তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী জানান, নির্বাচনী মাঠ থেকে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দূরে রাখতেই ওই হামলা-ভাংচুর ও তাণ্ডব চালানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার সময় রাস্তার লাইট বন্ধ করে দিয়ে মুখে কাপড় বেধে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শহরের কাচারীপাড়া খালেকের মোড় এলাকায় মহড়া চালায় নৌকা প্রতীকের সমর্থক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ও সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলামের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও গেইট-জানালা ভাংচুর করে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ কর্মী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হারুন অর রশিদের বাড়ির থাই গ্লাস, বিএনপি নেতা শামীমের বাড়ির থাই গ্লাস, বিএনপি কর্মী হেলাল খানের দোকানের সাটার, ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন জনির ভাড়া বাড়ির গেইট, গব্দিরর সেলুনের জানালার গ্লাস, পশ্চিম কাচারীপাড়া এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী কেন্দ্র এবং ছাত্রদল নেতা শওকত ও বিএনপি কর্মী হবিবুর রহমান হবির বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করা হয়।

এদিকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের স্ত্রী ইলা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, রাজনীতি করা কি অন্যায়। কেবল রাজনীতি করার জন্যই আমার স্বামীর নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। তিনি তো বাড়িতেই থাকেন না। আমাদের বাড়িতে এমন হামলা কেন? কারো সহযোগিতা পাচ্ছিনা। এমতাবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন