স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে যানজট নিরসনে নতুন করে এক ডজন ইউলুপ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে এ বিষয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শ্রীঘ্রই এটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পুনর্গঠনের কাজ চলছে। রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে উত্তরার হাউস বিল্ডিং পর্যন্ত সড়কে এসব ইউলুপ নির্মাণ করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড় থেকে উত্তরার হাউস বিল্ডিং পর্যন্ত মোট দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। এই হিসাবে প্রতি কিলোমিটারে একটি করে ইউলুপ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে রাস্তায় রাইটটার্ন নেয়ার জন্য আর সিগনালে অপেক্ষার প্রয়োজন হবে না। কারণ প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে এই রাস্তার রাইটটার্ন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়ে ১২টি ইউলুপ নির্মাণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রকল্পটির জন্য ডিপিপিতে ২২ কোটি ২৩ লাখ টাকার সংস্থান রয়েছে। তবে এই বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়। এজন্য ডিপিপি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই প্রকল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন, ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ ও সড়ক বিভাগ একমত হয়েছে। আশা করা যায় খুব শিগগিরিই এর অগ্রগতি আসবে।
জানা গেছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিমানবন্দর থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত ২৫ শতাংশ যানজট কমে যাবে। একই সঙ্গে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অধীনেও আরো কয়েকটি ইউলুপ করার চিন্তা রয়েছে। ওই সময় এই রাস্তার যানজট একেবারেই কমে আসবে বলে মনে হচ্ছে।
ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ২০ শতাংশ তারা বহন করবে। বাকি টাকা সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বরাদ্দ দেয়া হবে। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কী পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করতে হবে তা এখনো চূড়াস্ত হয়নি।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, কিন্তু এর নকশা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা বলেছি প্রস্তাবিত গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিএরটিএ) গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট প্রকল্পের সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক কি-না তা খতিয়ে দেখতে হবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, প্রকল্পের জন্য একটি সংস্থার একক রেইট সিডিউল অনুসরণ করা এবং কোনো আইটেমে সংস্থার রেইট সিডিউল না থাকলে অন্য সংস্থার সিডিউল অনুসরণ করতে হবে। একই সঙ্গে ইউটিলিটি সিফটিং খাতে ব্যয়ের বিষয়ে ডেসকো, ঢাকা ওয়াসা, বিটিসিএল ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ব্যয় নির্ধারণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন