শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ঘনকুয়াশায় ঘটছে দুর্ঘটনা

দিনেও চলতে হয় হেডলাইট জ্বালিয়ে

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল, চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

কুমিল্লায় শীতের প্রকোপ বাড়ছে। ঘনকুয়াশায় ঘটছে দুর্ঘটনা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। গত কয়েকদিনে কুমিল্লায় সন্ধ্যা হতে না হতেই কনকনে শীত জেঁকে বসছে। সেই সাথে ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে পুরো এলাকা। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হওয়া ঘন কুয়াশা পরদিন বেলা ১২ টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে। কুয়াশার কারণে সামনে কিছু দেখা যায়না। ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ঘন কুয়াশায় রাস্তা হারিয়ে একটি ট্রাক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের খাদঘর নামক স্থানে উল্টে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। গত কয়েকদিনে প্রচণ্ড ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর থেকে রাতে এবং বেলা ১২টা পর্যন্ত মহাসড়কে যানবাহন চলাচলা দুষ্কর হয়ে পড়ে। সাদা ধোয়ার মতো কুয়াশা উড়তে দেখা যায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় যানবাহন চলাচল করে। পৌষ মাসের মাঝামাঝিতে ঘনকুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থায় শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মহাসড়কে দুর্ঘটনাও ঘটছে একের পর এক। এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুঃস্থ অসহায়দের দুভোর্গ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফুটপাতে বসবাসকারী দুঃস্থ অসহায়দের শীত বস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাত থেকে অঝড়ে ঝড়ছিল বৃষ্টির মতো কুয়াশা। সকালেও কুয়াশার রেশ কাটছেনা। গতকাল বৃহস্পতিবার শীতের তীব্রতা অনেক বেশী ছিল। জনজীবন হয়ে পড়েছে কোনঠাসা। শীত বস্ত্রের অভাবে দরিদ্র মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। উপজেলার দরিদ্র মানুষেরা ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে মাঠে-ক্ষেত খামারে কাজে যেতে পারছে না। আব্দুল কাইয়ুম নামের এক শিক্ষক জানান, ঘন কুয়াশার কারণে ঘর থেকে বের হয়ে বাসে কর্মস্থলে সঠিক সময়ে পৌঁছতে পারছেনা। বাসের ড্রাইভার হেড লাইট জ্বালিয়েও ১০ গজ সামনের পথও দেখতে পারছেননা। চান্দিনার এক ব্যাংকার শাহআলম জানান, ঘনকুয়াশার মাঝেও ঝুকি নিয়ে বাসে চলাচল করে অফিসে যেতে হচ্ছে। আধা ঘন্টার পথ কোন কোন সময় দেড় থেকে ২ ঘন্টার যাওয়া যাচ্ছে না কারণে। দিনমজুর ইব্রাহিম বলেন, ইট ভেঙে সংসার চালাই। এখন কুয়াশার কারণে ইট ভাঙতে না পারায় আইজ হামাক উপাশ থাকিতে হইবে। এ বিষয়ে ইট ব্যবসায়ী কামরুল জানান, ঘন কুয়াশর কারণে কোন শ্রমিক ইট ভাঙতে আসেনি। তাই কনকনে শীতে সকল শ্রেনীর মানুষ এখন অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছে । মোটা কাপড়ের অভাবে অনেককে সারারাত খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন