নওগাঁয় যৌতুকের কারনে ছালমা (২৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী। হত্যা করেও ক্ষান্ত না হয়ে স্বামী ওই গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে তার গ্রামের বাড়ী নওগাঁ সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে ফেলে রেখে পালিয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে যৌতুক নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ইট দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করলে ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে মৃত্যুবরণ করে। পরে স্ত্রীর গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঘরের তীরের সাথে টাঙ্গিয়ে রাখে। পরদিন শুক্রবার সকালে তার স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে তার স্ত্রী ও তাদের শিশু সন্তান সোহানকে নিয়ে হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে তার গ্রামের বাড়ী শিমুলিয়া গ্রামে রেখে স্বামী পালিয়ে গেছে। পরে প্রতিবেশীরা তার শ্বশুড় বাড়ীতে খবর দিলে তারা এসে নওগাঁ সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছে।
নিহতের সন্তান সোহান (৬) জানান, আমার বাবা আমার মাকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আমার মা মারা যায়। পরে আমার বাবা গলায় ওড়না দিয়ে টেঙ্গে রাখে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন