সিলেট সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিলবোর্ড বাবত বকেয়া আদায়ে নেমেছে সিসিক টিম।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নগরীর শাহজালাল উপশহর এলাকায় বাসা বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে নগরবাসীর সাথে আলোচনা করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে আলোচনায় শাহজালাল উপশহরের বেশ কয়েকজন বাসার মালিক মেয়র আরিফের কাছে এসে বাসার হোল্ডিং ট্যাক্স অতিরিক্ত বলে অভিযোগ করেন। এ সময় মেয়র আরিফ বাসার মালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স দেখে রিভিউ করেন। তবে এ সময় কোনো ট্যাক্স আদায় হয়নি।
নগরীতে সিসিকের অভিযানের অংশ হিসেবে শাহজালাল উপশহর এলাকায় কর রিভিউ কার্যক্রম করেন মেয়র আরিফ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, এসেসর চন্দন দাস, সহকারী কর কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম প্রমুখ।
সিসিকসূত্রে জানা গেছে, সিসিকের বকেয়া বিল জমতে জমতে পরিমাণ এখন পাহাড়সম প্রায় ১০০কোটি টাকা। বকেয়া বিল আদায়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে তিনটি কমিটি। একটি কমিটির দায়িত্বে আছেন সিসিকের সচিব মো. বদরুল হক, আরেকটিতে সিসিকের প্রধান প্রকোশলী নূর আজিজুর রহমান আর অন্যটিতে নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর।
সিলেট নগরে গ্রাহকদের কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিল বোর্ড বাবত বকেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বার বার নোটিশ প্রদান সত্তে¡ও বিল পরিশোধ না করায় বকেয়া আদায়ে পুরোদস্তুর মাঠে নেমেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। বকেয়া বিল আদায়ে গঠন করা হয়েছে সিসিকের তিনটি টিম।
সিটি কর্পোরেশনের মূল আয়ের খাত হোল্ডিং ট্যাক্স খাতে বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৬৭কোটি টাকা, পানির বিলের বকেয়ার পরিমাণ ১২ কোটি টাকা, ট্রেড লাইসেন্স বাবত বকেয়ার পরিমাণ ২০ কোটি টাকা এবং বিল বোর্ড বাবত বকেয়ার পরিমাণ ১ কোটি টাকা। সিসিকের আয়ের এই চারটি মূল খাতেই বকেয়ার পরিমাণ ১০০কোটি টাকা হওয়ায় বকেয়া আদায়ে কঠোর হচ্ছে সিসিক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন