প্রশাসনের নাকের ডগায় নাঙ্গলকোট উপজেলা সদরের প্রায় দু’শ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী গোত্রশাল সরকারী দীঘি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রির মহোৎসব চলছে। ৪টি অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ওই দীঘি থেকে বালু তুলে বিক্রি করছেন একটি সুবিধাভোগী মহল। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল সড়ক। প্রশাসনের এমন নীরব ভূমিকায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই দীঘিটির বুক চিরে ১৮৩৯ সালে ঢাকা-চট্টগ্রামের নির্ভরযোগ্য একমাত্র রেল সড়কটি নির্মিত হয়। ওই রেল পথের পাশ ঘেঁষে দিঘীর পূর্বাংশে ৪টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে প্রায় একমাস ধরে বালু তোলা হচ্ছে। সেসব বালু পাশের গোত্রশাল, মাদ্রা ও কেন্দ্রাসহ কয়েকটি গ্রামে বিক্রি করা হচ্ছে। দিঘী থেকে বালু তোলার ফলে চরম ঝঁকির মুখে পড়েছে দেশের নির্ভরযোগ্য এ রেলপথ এবং কুমিল্লা জাঙ্গালিয়া থেকে ৩৩ হাজার ক্ষমতা সম্পন্ন ফেনী গ্রীডে সংযুক্ত বিদ্যুৎ লাইনটি। ইতোপূর্বে এ গ্রীড লাইনটি দিঘীতে হেলে পড়লে এ এলাকায় প্রায় এক মাস বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলছেনা।
এলাকাবাসি জানায়, অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে যেকোন মুহুর্তে এলাকায় বড় ধরনের দূঘটনা ঘটতে পারে। তাই অতি শীঘ্রই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাঙ্গলকোট রেল স্টেশনের এক কর্মচারী বলেন, রেলপথের পূর্বাংশের মাটি কিছুটা ঝুঁকে পড়েছে। বিষয়টি পূর্বাঞ্চল রেল বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সোহেল রানা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন