কূটনৈতিক সংবাদদাতা : বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমান মিলে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক করিডর গড়ে তুললে শুধু দুই দেশের মধ্যে নয় এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্রই বদলে যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক : অংশীদারিত্বের ৪০ বছর’ শিরোনামে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্ট্যাডিজ (বিআইআইএসএস) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান মুনশী ফায়েজ আহমাদের সভাপতিত্বে সেমিনারের উদ্বোধনী সেশনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সভাপতি ফারুক সোবহান, ঢাকায় নিয্ক্তু চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়াং চুনগি, বর্তমান রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং ও বিআইআইএসএস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আবদুর রহমান।
ঢাকায় বিআইআইএসএস ভবনের এ সেমিনারে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উন্নয়ন কেন্দ্র, বড়পুকুরিয়া থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টকে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশও ধারবাহিকভাবে চীনের কোর জাতীয় স্বার্থে সমর্থন দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ এক চীন নীতিতে বিশ্বাস করে এবং তাইওয়ানকে চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে। বাংলাদেশে পণ্য আমদানিতে সবচেয়ে বড় উৎস চীন। বড় এবং দ্রæত বিকাশমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে চীন বাংলাদেশের রোল মডেল একথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চীনের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে চাই।
বাংলাদেশের ও চীনের সম্পর্কের মূল ভিত্তি হল, এই দুই দেশ একে অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় না। দুই দেশের সার্বভৌম, সাম্য, শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান, যৌথ-বিশ্বাস ও নিজ নিজ অবস্থানকে সম্মান জানানোর ফলে এ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন