প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসন থেকে চতুর্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ তাজুল ইসলাম। তার সততা ও নিষ্ঠার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মনোনিত করেছেন। সোমবার গণভবনে তিনি শপথ গ্রহন করেছেন।
সংক্ষিপ্ত জীবনী ও রাজনৈতিক পথচলা:
জুলফিকার আলী ও আনোয়ারা বেগম দম্পতির ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। ছাত্রজীবন শুরু হয় গ্রামের পোমগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন পোমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। উচ্চ মাধ্যমিক লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ এবং অনার্স-মাস্টার্স চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (ব্যবস্থাপনা বিভাগ) থেকে। শিক্ষার বিস্তারে তার অবদান অনেক। তিনি নিজ এলাকায় অসংখ্য স্কুল কলেজ তৈরি করেছেন। তার বাবার নামে একটি কারিগরি স্কুল তৈরি করেছেন। তিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটর হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।
বৈবাহিক জীবন:
সহধর্মীনি ফৌজিয়া ইসলাম। বিবাহিত জীবনে তিনি ২ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক। ছেলেরা শিক্ষাজীবন শেষ করে দেশের মাটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। নিজেদের শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মেয়েদের মধ্যে একজন ব্যারিস্টার আর অন্যজন উচ্চ শিক্ষার জন্য আমেরিকায় পড়াশুনা করছেন। বিয়ের পর পর চট্টগ্রামে সাফল্যের ছোঁয়া পায় মোঃ তাজুল ইসলাম। নিজের মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে সাফল্যের সাথে নিজেকে দাঁড় করান এক নতুন দিগন্তে। ফেবিয়ান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ সহ বর্তমানে ২০ টি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী তিনি। যমুনা ব্যাংকসহ ২টি বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা করছেন তিনি। দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনৈতিক জীবন:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশির্বাদপুষ্ট মোঃ তাজুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম লাকসাম-মনোহরগঞ্জের মাটি ও মানুষের ভালবাসাকে পুঁজি করে মহান জাতীয় সংসদে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ের মালা পরিধান করে। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে জয়ী হয়ে মহান জাতীয় সংসদে যান এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৩য় বারের মত মহান জাতীয় সংসদে যান। এতদাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডে তিনি সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
শেখ হাসিনার উন্নয়নকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন। সততা, আদর্শিক রাজনীতি, উন্নয়ন কর্মকান্ড ও মানুষের ভালোবাসায় আজ তিনি দেশের গস্খরুত্বপূর্ন মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে পেয়েছে এলাকার জনগণ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন