বিস্তৃত চলন বিল পাবনার চামোহর, হান্ডিয়াল, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ অপরদিকে নাটোর-রাজশাহী এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। পাবনার চলন বিলের আহরোহিত মাছ কলকাতায় নেওয়ার জন্য ভাঙ্গুড়া উপজেলার অদূরে দিলপাশা ট্রেন স্টেশন স্থাপিত হয় বৃটিশ শাসন আমলে। কালের ও ফারাক্কার আঘাতে এই বিলের পানির উৎস আত্রাই, চিকনাই, বড়াল নদী শুকিয়ে যাওয়ায় শুষ্ক মওসুমে পানি সংকটে নিপতিত এই বিল। এই শুষ্ক মওসুমে সুযোগ নিয়ে নানাভাবে কাগজপত্র তৈরি করে নদী-বিল দস্যুরা চলন বিলের অনেক জায়গা নিজেদের নামে করে নিয়েছেন। এই জায়গা আর সরকারের খাসে নেই। এরপরও চলন বিল এলাকা যতটুকু টিকে আছে তাও কম নয়। শুষ্ক মওসুমে পানি শূন্য হয়ে পড়ায় মৎস্যজীবীরা বেকার হয়ে পড়েন। মাঝিদের নাও আর চলে না। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা বিরাজ করছে। এবার শুষ্ক মওসুম শুরু হওয়ার প্রারম্ভেই চলনবিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এর উপর বিষ ফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে, অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত স্লুইস গেট, বাঁধ । বাঁধ এবং স্লইস গেটের ব্যাপারে পাউবো বলছে, অপরির্খপতি নয়। বর্ষার সময় বন্যার পানি রোধে বিস্তৃত এলাকা প্লাবিত হওয়া থেকে রক্ষা করতেই নির্মাণ করা হয়েছে। শুষ্ক মওসুমে নদ-নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে চলনবিল পানি সংকটে পড়ে। বর্ষা মওসুমে এই চলন বিল জুড়ে পানি থৈ থৈ করে। মাছের প্রজনন বাড়ে। শুষ্ক মওসুমে আঘাত প্রাপ্ত হয় নদ-নদীর পানি শূন্যতার কারণে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন