কেন্দ্রভিত্তিক ভোট আগ্রাসন তথা ভোট ডাকাতি রোধে প্রতি ওয়ার্ডে একশত করে জানবাজ কর্মী তৈরি করবে ইসলামী আন্দোলন। পাশাপাশি ইসলাম তথা ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার জন্য ব্যক্তি ও সমাজভিত্তিক জনসেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এছাড়া মজলিসে শুরার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনোত্তর জাতীয় এবং স্থানীয় ইস্যুতে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামী আন্দোলন, নরসিংদী সদর থানা শাখা আয়োজিত› নির্বাচনোত্তর পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে এক আলোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন নরসিংদী জেলা শাখার সেক্রেটারি ও নরসিংদী সদর আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আশরাফ হোসেন ভূঁইয়া। সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন, নরসিংদীর সভাপতি মাওলানা আব্দুল বারি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি কাউসার আহমেদ কাসেমী, দপ্তর সম্পাদক ডাক্তার মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, যুব আন্দোলন নরসিংদী সভাপতি মাওলানা আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ছাত্র আন্দোলনের সহ-সভাপতি এমএম মাহাদী হাসান প্রমূখ। বক্তাগণ গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভোটের নামে প্রহসন বলে আখ্যায়িত করেছেন। তারা বলেন, নির্বাচনের দিন ইসলামী আন্দোলনের এজেন্টদেরকে অনেক কেন্দ্রে থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং অনেক কেন্দ্রে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। ক্ষমতাসীনরা ইসলামী আন্দোলনের ভোট সিল মেরে নিয়ে গেছে। প্রায় প্রতি কেন্দ্রে আগের দিন রাতে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সভর্তি করে রাখা হয়েছে।
বক্তাগণ দুঃখ করে বলেন, এ প্রহসনের নির্বাচন প্রমাণ করে কোন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন সরকারের তল্পিবাহক হিসাবে কাছে করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। এবারের নির্বাচন ছিল একটি জুলুমের নির্বাচন। আওয়ামী লীগের অধীনে এদেশে আর কোনদিন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে মানুষ বিশ্বাস করে না। এই অবস্থায় নিজেদের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য নিজেদেরই শক্তি সঞ্চয় করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন