সাভারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও যুবদল নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে যুবদলের চার কর্মী এবং তিন নারী পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গুলিবিদ্ধরা হচ্ছেন, যুবদল কর্মী শরিফ (২৬), ইসমাইল (২৮), মিরাজুল ইসলাম অপু (২৩), রেজাউল করিম (২৪) ও নারী পথচারী সুমাইয়া (২২), আলেয়া পারভিন (২৮) এবং ডলি আক্তা (২৯)।
স্থানীয়রা ও আহতরা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় সাভার পৌর এলাকার শাহীবাগ মহল্লার স্থানীয় একটি সড়কে যুবলীগ নেতা রাসেল মাতব্বরের সঙ্গে যুবদল নেতা পারভেজের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা তার লোকজন নিয়ে পারভেজের বাড়ি লক্ষ করে ফাকা গুলি ছুড়ে। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে যুবদল নেতা তার লোকজন নিয়ে যুবলীগ নেতার বাড়ির সামনে গিয়ে জড়ো হতে থাকে। এসময় যুবলীগ নেতা সোহেল বাড়ির ছাদে গিয়ে যুবদল নেতার লোকজনকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে চার জন গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়াও এই ঘটনায় তিন নারী পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এনাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে তিন জন ভর্তি রয়েছে। আহতদের প্রত্যেকের শরীরে একাধিক জায়গায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ইসমাইলের শরীরের ৭টি স্থানে গুলি লেগেছে।’
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা রাসেল মাতব্বরের বাবা ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামল মতব্বর বলেন, ‘যুবদল নেতা পারভেজ লোকজন নিয়ে তাদের বাড়ির মূল ফটকের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।’ এক পর্যায়ে তারা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে তিনি ছাদে গিয়ে নিজে দুই রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়েন বলে জানান। তবে তাদের গুলিতে যুবদল নেতার লোকজন আহত হয়নি এবং তারা নিজেরাই নিজেদের গুলিতে আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। তবে তার ছেলের নামে বন্দুকের কোনও লাইসেন্স নেই, তার নামেই বন্দুকের লাইসেন্স রয়েছে বলে তিনি জানান।
সাভার মডেল থানার ওসি আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ ব্যাপারে যুবদল নেতা ইউনুছ পারভেজ ও যুবলীগ নেতা রাসেল মাতব্বরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন