স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর রূপনগর থানার ওসির সহযোগিতায় সন্ত্রাসীরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে মিথ্যা মামলায় হয়রানী, খুন ও গুমের হুমকি দিচ্ছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় পুলিশ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হয়রানীর মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী গৃহবধূ জেসমিন আক্তার এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার স্বামী শামসুল হুদা ও ভুক্তভোগী অপর গৃহবধূ আরজু আরা মিলি উপস্থিত ছিলেন।
জেসমিন আক্তার লিখিতভাবে বলেন, রাজধানীর রূপনগর থানার আরিফাবাদ হাউজিংয়ের নিজ ফ্ল্যাটে বসবাস করে আসছেন। হাউজিং সমিতির সভাপতি এম এ খালেক সন্ত্রাসীদের সাথে আঁতাত করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এর কিছু দিন পর রূপনগর থানার এসআই আসাদ ও এম সেলিম এইচ খান আমার বাসায় এসে উক্ত চাঁদার টাকা খালেক সাহেবকে দিতে বলেন। তা না হলে অস্ত্র ও মাদক মামলায় জড়িয়ে হয়রানী ও নির্যতন করার হুমকি দেন। এ ঘটনার পর মিরপুর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়। এতে রূপনগর থানার ওসি, এসআই আসাদ, এম সেলিম এইচ খানসহ সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও আমার স্বামীকে খুন ও গুমের হুমকি দেন। একপর্যায়ে আমার স্বামী ও আমাকে থানার ওসি শহিদ আলম এসআই মুমিনের মাধ্যমে কলাপাতা নামক রেস্টুরেন্টে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। কিন্তু সেখানে না যাওয়ায় খালেক সাহেবের স্ত্রীকে দিয়ে সাজানো ও বানোয়াট অভিযোগে আটক করা হয়। পরে আমাদের আটকের পর পুরো থানা এলাকায় গাড়িতে ঘুরানো হয় এবং ভিডিও ধারণ করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, এম এ খালেক বিভিন্ন ভাবে আমাকে কুপ্রস্তাব করে হোটেলে দেখা করতে বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, আমাদের গ্রেফতারের পর আমার মোবাইল ফোন সিস করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো মুছে ফেলা হয় এবং বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিকভাবে অপদস্থ করা হয়। আর ওসি রূপনগর আমাদের নামে সন্ত্রাসীদের দিয়ে ৭ থেকে ৮টি জিডি করেছেন। কিন্তু আমাদের কোন জিডি গ্রহণ করেননি।
উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সালে এম এ খালেকের প্রেরিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীকে এসি পল্লবীর সহযোগিতায় ধরিয়ে দেই। পুলিশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো নির্যাতিতদের হয়রানী করছেন। ভুক্তভোগী জেসমিন আক্তার এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন