রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নেত্রকোনায় রাতের আঁধারে সরকারী পুকুর ভরাটের অভিযোগ

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ৫:৩১ পিএম

নেত্রকোনা পৌরসভার সাতপাই এলাকায় জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরী করে সরকারী পুকুর ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরকারী পুকুরটি রক্ষার জন্য এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে।
জানা গেছে, প্রায় শত বছর ধরে জেলা শহরের সাতপাই এলাকার জমিদার কাচারী বাড়ি হিসেবে রেকর্ডকৃত খাস খতিয়ানভুক্ত ভুমিতে ৮ শতাংশের একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরের আশপাশ জুড়ে শত শত পরিবার বসবাস করে। জমিদারী আমল থেকে উক্ত পুকুরে এলাকাবাসী তাদের গোসল তালা বাসন ধোয়া সহ দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে আসছে। এছাড়াও পুকুরটি এলাকার পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এমতাবস্থায় পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে বড় ধনের পরিবেশ বিপর্যয়ে পড়তে হবে এলাকাবাসীকে।
এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, জনৈক শোয়েব উদ্দিন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে সরকারী পুকুরটি নিজের মালিকানার দাবী করে সেটি ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রি করায় পাঁয়তারা করছে। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী পুকুর ভরাটে বাঁধা দিলে শোয়েব উদ্দিন পেশী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে রাতের অন্ধকারে পুকুরটি ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যা বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ আইনের সুষ্পষ্ট লংঘন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুকুরটি ভরাট না করার জন্য এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে গত ১৮ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেও রাতের আঁধারে পুকুর ভরাটের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে এলাকাবাসী এডভোকেট শফিউল হাসান মঞ্জু জানান।
পুকুর ভরাটকারী শোয়েব উদ্দিন বলেন, এটি বাপ দাদার আমল থেকে আমাদের সম্পত্তি। তাছাড়া সবটুকু পুকুর ভরাট করা হবে না। এর কিছু অংশ ভরাট করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন