নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : আবারো পেছালো নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার চার্জ গঠন। ৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেছেন আদালত। আসামী পক্ষের আইনজীবীদের চার্জশীটের নকল না পাওয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। বুধবার সকাল সোয়া ১১ টায় নির্ধারিত শুনানি কথা থাকলেও আসামী পক্ষের আবেদনের পর জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত পুনরায় চার্জ গঠনের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেন।
আদালতে গ্রেফতারকৃত ২৩ আসামীর উপস্থিতিতে মামলা দুটির চার্জ গঠনের শুনানির সময় আসামী পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে আবেদন করে জানান এখনো পর্যন্ত তারা চার্জশীটের নকল হাতে পাননি। ফলে তারা সময় প্রার্থনা করেন। আদালতে চার্জশীট জমা হওয়ার প্রায় একবছর বছর পরেও কেন চার্জশীটের নকল তুলতে পারেন নাই বিচারকের এমন প্রশ্নে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা কোন সদুত্তরর দিতে পারেননি। একই সঙ্গে মামলার আসামী নূর হোসেন, র্যাবের চাকরীচ্যুত সিইও তারেক সাঈদ, কোম্পানি কমান্ডার এম এম রানা, আরিফসহ ১১ জনের জামিন চাইলে আদালত তা না মঞ্জুর করে দেন। আরিফের জব্দকৃত ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের আবেদনও নামঞ্জুর করে দেন আদালত।
আদালতে মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা এবং র্যাব কর্মকর্তাদের পক্ষে ঢাকা আদালতের প্রায় ২০ জন আইনজীবী মামলা পরিচালনা করেন। আর বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন নারায়ণগঞ্জ বারের সাবেক সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন।
এর আগে সকাল ৯টায় কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয় আসামীদের।এদিন সকাল থেকে আদালতের সকল প্রবেশপথ পুলিশ বেষ্টনির মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া হয়।এ সময় আদালত গেটের বাইরে শত শত বিভিন্ন মামলার বাঁদি বিবাদী ও কালো কোট পরিহিত বহু আইনজীবীকে প্রবেশ পথের বাইরে অবস্থান করতে দেখা গেছে। প্রিজন ভ্যানে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় এদিনও নূর হোসেনের বিপুল সংখ্যক সমর্থক রাস্তায় মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন করে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের লিংক রোড শিবু মার্কেট এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জ বারের প্রবীণ আইনজীবী এড. চন্দন সরকার সহ ৭ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৩০ এপ্রিল ৬ জন ও ১ মে এক জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী বিউটি ইসলাম ও এড.চন্দন সরকারের জামাতা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় দুটি পৃথক হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন