বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য

অ্যাপথাস আলসার এবং কোল্ড সোর

প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের মাঝে অ্যাপথাস আলসার দেখা যেতে পারে মানসিক চাপের কারণে। এছাড়া সুষম খাবারের অভাবে বা ঘুম ঠিকভাবে না হলেও অ্যাপথাস আলসার হতে পারে। অ্যাপথাস আলসার একটি ছোট ব্যথাযুক্ত মুখের আলসার বা ঘাঁ যা আনুমানিক ২-৫ মি.মি. ডায়ামিটার আকৃতির হয়ে থাকে। এটি সাধারণত ৫-৭ দিন থাকে এবং আলসার বা ঘাঁ ২ সপ্তাহের মধ্যে শুকিয়ে যায়। যাদের বার বার অ্যাপথাস আলসার হয় তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন বি১২ কার্যকর ভূমিকা রাখে। কিন্তু আমাদের দেশে বুঝে না বুঝে রোগীরা ভিটামিন সেবন করে থাকেন যা মোটেই ঠিক নয়।
কোল্ড সোর আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষের কাছে জ্বরঠোসা নামে পরিচিত। জ্বরঠোসায় সাধারণত ব্যথা হয়ে থাকে এবং জ্বালাপোড়া থাকে। চুলকাতেও পারে। সাধারণত ঠোটে বেশি দেখা যায়। কোল্ড সোর হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ-১ ধারা হয়ে থাকে। অ্যাপথাস আলসার বা ক্যানকার সোর কেবলমাত্র মুখের ভিতরে হয়। আর কোল্ড সোর বা জ্বরঠোসা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মুখের বাহিরে হয়। তবে মাঝেমাঝে মুখের ভিতরে হয়। কিন্তু কেবলমাত্র শক্ত স্থানে যেমন মুখের অভ্যন্তরে তালুতে বেশি হয়ে থাকে। অ্যাপথাস আলসার ভাইরাস দ্বারা হয় না কিন্তু কোল্ড সোর বা জ্বরঠোসা ভাইরাস দ্বারা হয়ে থাকে।
তাই যারা কোল্ড সোরে আক্রান্ত তাদের খাবার গ্লাস, প্লেট ও কাপ আলাদা থাকা উচিত। অ্যাপথাস আলসার ওরাল টিস্যু ধ্বংসের মাধ্যমে হয়ে থাকে। যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সোডিয়াম লরিল সালফেট দ্বারা হয়ে থাকে। কোল্ড সোরের ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষণই হলো ব্লিস্টারের আবির্ভাব হওয়া। অ্যাপথাস আলসার একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায় না। কিন্তু কোল্ড সোর বিস্তৃতি লাভ করতে পারে। তাই মুখের অভ্যন্তরে যে কোনো স্থানে বা ঠোঁটে আলসার বা ঘাঁ দেখা দিলে মুখস্ত ভিটামিন, মলম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার মুখের ঘাঁ কি ধরনের অর্থাৎ রোগ নির্ণয় করার পরই যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

ষ ডা. মো. ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল : ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল : ফৎ.ভধৎঁয়ঁ@মসধরষ.পড়স

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন