চাঁদপুরের কৃতিসন্তান ড. আবু আলী ইবনে সিনা ও ডা. কানিজ সুলতানা কান্তা। ড. সিনা ও তার সহকর্মীরা রক্তের একটি পরীক্ষায় সব ক্যানসার শনাক্ত করার সাফল্য অর্জন করে দেশি-বিদেশি প্রচার মাধ্যমে রীতিমত হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। অপরদিকে ডা. কানিজ সুলতানা কান্তা গর্ভকালীন খিঁচুনির (একলাম্পসিয়া) কারণে মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে কাজ করে সাফল্য স্বরুপ গবেষকদের কাছে অস্কার হিসেবে গণ্য ‘ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দক্ষিণ এশিয়া পুরস্কার-২০১৮’ অর্জন করেছেন।
চাঁদপুর শহরতলীর বাসিন্দা শিক্ষক দম্পতি মো. শহীদুল্লাহ ও সুরাইয়া আক্তারের প্রথম সন্তান ড. আবু আলী ইবনে সিনা। বাবা-মায়ের মতো তিনিও শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ২০১১ সালে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন (বায়োকেমিস্ট্রি) বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন এবং ২০১৩ সালে বৃত্তি নিয়ে পিএইচডি করার সুযোগ পান অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পারসোনালাইজড ন্যানো মেডিসিনে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করছেন ড. সিনা। যে গবেষণায় তিনিসহ তাঁর সহকর্মীরা রক্তের একটি পরীক্ষায় সব ক্যানসার শনাক্ত করার সাফল্য অর্জন করে প্রচার মাধ্যমে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন।
চাঁদপুরের আরেকটি সাফল্যের খবর ডা. কানিজ সুলতানা কান্তার। তিনি গর্ভকালীন খিঁচুনির (একলাম্পসিয়া) কারণে মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে কাজ করে যে সাফল্য অর্জন করেছেন, তার স্বীকৃতি স্বরূপ বিরল পুরস্কারে ভ‚ষিত হয়েছেন ‘ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দক্ষিণ এশিয়া পুরস্কার ২০১৮’। যা গবেষকদের কাছে ‘অস্কার’ বলে গণ্য। ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর ভারতের চেন্নাইতে অনুষ্ঠিত ৫ম ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল (ইগঔ) পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার নয়টি দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশী ফাইনালিস্ট হিসেবে ডা. কানিজ সুলতানা কান্তা অংশগ্রহণ করেন এবং পুরস্কার লাভ করেন। ডা. কানিজ চাঁদপুর জেলা আয়কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও আয়কর উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট শাহ মো. আবদুল কুদ্দুছের একমাত্র কন্যা। তিনি ইউএসএইডের একলাম্পসিয়া সংক্রান্ত প্রকল্পে অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে কর্মরত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন