শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খুলনার ‘চায়না প্রজেক্টে’ হামলা-ভাঙচুর ও কর্মরতদের মারধর : গ্রেফতার ৫

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

খুলনার দাকোপ উপজেলার নলিয়ানে বেড়িবাঁধ টেকসই ও উঁচুকরণ কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ‘চায়না প্রজেক্ট’-এ হামলা ভাঙচুর, চীনা ইঞ্জিনিয়ারদের মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আব্দুল হান্নান গাজী, মো. আনিস সানা, মো. আছাদুল সানা, সাহেব আলী গাজী ও মো. শরিফুলকে গ্রেফতার করেছে। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠিয়ে পুলিশ তাদের চারদিনের রিমান্ড চেয়েছে।
মামলার অপর আসামীরা হলেন আব্দুর রাজ্জাক, আবু মুছা গাজী, আজিজ ফকির, আব্দুল বারিক গাজী, গোলজার গাজী, মোস্ত, আবুল, আব্দুল্লাহ, কানাইসহ আরও অজ্ঞাত ১০/১৫ জন।

গত সোমবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত ও উস্কানিদাতা হিসেবে স্থানীয় সুতারখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম ফকির ও কবির খানকে চিহ্নিত করেছে। এই ঘটনার পর প্রজেক্টের কাজ বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

মামলার এজাহার ও পুলিশ প্রতিবেদনে জানা যায়, বালু বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার বিকেলে অভিযুক্তরা নলিয়ান কাচাড়ীবাড়ি মসজিদের সামনে চায়না প্রজেক্ট এলাকায় প্রবেশ করে। এ সময় মামলার বাদী ও চায়না প্রজেক্টের দোভাষী মো. ইমামুল হোসেন ইমু বাধা দিলে তারা তার (ইমু) ওপর হামলা চালায়। তাদের বাধা দিতে এগিয়ে এলে তারা প্রজেক্টের চীফ ইঞ্জিনিয়ার মি. ঝাং, সাইড ইঞ্জিনিয়ার মি. চাইয়ের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা দেশী অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রজেক্টে কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তির নগদ অর্থ, একাধিক মোবাইল সেট নিয়ে যায়। বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে।

বাদীর অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম ফকির ও কবির খান এই ঘটনার উস্কানিদাতা। বাঁধ নির্মাণের জন্য তাদের কাছ থেকে প্রথমে দু’কিলোমিটার রাস্তার জন্য বালু নেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে একই বালু আশরাফ নামে এক ব্যক্তি কমমূল্যে সরবরাহ করে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। নিরাপত্তার কারণেই প্রজেক্টের কাজ বন্ধ রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দাকোপ থানার এসআই মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে এ আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মামলার প্রাথমিক তদন্তে এ ঘটনায় মাসুম ফকির ও কবির খানের সম্পৃক্ততা মিলেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন