পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) শিক্ষক লাঞ্ছনাকারী ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও নবীন শিক্ষার্থীদেরকে র্যাগিংয়ের নামে নির্যাতনে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গত সোমবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষকেরা। এর আগে রোববার বিকেলে অভিযুক্তদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয় শিক্ষক সমিতি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, গত শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই বাংলা-১ আবাসিক হলের গণরুমে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করা হচ্ছিল। র্যাগিংয়ের নামে নির্যাতনের ঘটনা দেখে প্রতিবাদ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক। এসময় কতিপয় উশৃঙ্খল শিক্ষার্থী ওই শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। পরবর্তীতে একজন শিক্ষার্থী হলের সহকারী প্রভোস্ট আব্দুর রহিম ও সুজন কান্তি মালীসহ কয়েকজন শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে শিক্ষক সমিতির এক জরুরি বৈঠকে অভিযুক্তের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি স্মারকলিপির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে অবহিত করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এরপর সোমবার সকাল থেকে শিক্ষকেরা ক্লাস ও বিভিন্ন অনুষেদের পূর্বনির্ধারিত সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন শুরু করেন। এ বিষয়ে পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, এ ঘটনায় কৃষি অনুষদের উদ্ভিদ রোগতত্ত¡ বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন