নারীর জীবনে সন্তান জন্ম দান অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কিন্তু এই জন্ম দান প্রক্রিয়ার সাথে অনেক ধরনের অসুস্থতা জড়িত। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। হাঁপানি বা এজমা শ্বাসযন্ত্র ও প্রেগনেন্সি পরস্পরকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। তিন ভাগের এক ভাগ ক্ষেত্রে বেড়ে যায়, এক ভাগ একই রকম থাকে, এক ভাগ-ভালো হয়ে যায়।
লেবার ও ডেলিভারিতে ৯০% এর কোনো অসুবিধা হয় না।
প্রচলিত ওষুধের ভেতর নিরাপত্তার দিক দিয়ে অধিকাংশ ওষুধ ব্যবহার যোগ্য। যেমন- সালবিউটামল, সালমেটরল, স্টেরয়েড ইনহেলার, থিওফাইলিন, স্টেরয়েড ও মনটেলুকাস্ট।
আগের পরামর্শ
১) ব্যবহৃত ওষুধগুলো চালাতে হবে।
২) ধূমপায়ীদের ধূমপান বন্ধ করতে হবে।
৩) নিয়মিত চিকিৎসকের ফলোআপে থাকতে হবে।
রোগ বেশি বাড়লে এবং যদি তা বার বার হতে থাকে শিশুর জন্মের সময় ওজন
কম হতে পারে।
পরামর্শ
১) ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অপেক্ষা অনিয়ন্ত্রিত এজমা, বাচ্চার ওপর বেশি ক্ষতি
করতে পারে।
২) সাধারণভাবে এজমার ওষুধগুলো নিরাপদ।
৩) স্টেরয়েড ব্যবহার করে যেতে হবে মুখে বা ইনহেলার হিসেবে, যখন যেভাবে
প্রয়োজন হয়।
৪) এজমা বাড়লে বাচ্চাকে নিয়মিত চেকআপে রাখতে হয় ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হয়।
৫) মনটেলুকাস্ট আগে প্রতিরোধে ভূমিকা রাখলে, নিয়মিত চালানো যেতে পারে, নতুনভাবে শুরু করার প্রয়োজন নেই।
লেবারের সময়
১) শিশু বিশেষজ্ঞ ও স্ত্রী রোগ চিকিৎসকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকতে হবে।
২) অন্যান্য সময়ের মতোই এজমার চিকিৎসা চলবে।
ডেলিভারির পর-
১) মাতৃ দুগ্ধে ক্ষতিকর পরিমাণে এজমার কোনো ওষুধ আসে না। সুতরাং পূর্বের নিয়মে
প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে হবে।
একটি সুস্থ শিশুর জন্য সুস্থ মায়ের প্রয়োজনীয়তা অনেক।তাই তার এজমাসহ সব ধরনের রোগগুলোকেই গুরুত্ব সহকারে চিকিৎসা করতে হবে।
ষ প্রফেঃ ডাঃ এ কে এম মোখলেছুজ্জামান
কনসাল্টেন্ট-ইন্টারনাল মেডিসিন,
আজগর আলী হাসপাতাল,
গেন্ডারিয়া, ঢাকা।
মোবাইল : ০১৭৬৭৮৭৯২৭৭।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন