শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বরিশাল মেডিক্যালে দেড় মাসে ১৭০ শিশুর মৃত্যু

ঠান্ডাজনিত রোগ

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

পৌষ-মাঘের অব্যাহত শৈত্য প্রবাহে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে গত ৪৫ দিনে শুধুমাত্র বরিশাল শের-এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ১৭০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে গত ডিসেম্বরে হাসপাতালটিতে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে ১১০ শিশুর মৃত্যু ঘটে বলে জানা গেছে। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্টসহ শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ জনিত নানা রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমাসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগ নিয়ে প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক শিশু হাসপাতালটিতে আসছে। প্রতিদিনই গড়ে ২-৪টি শিশুর মৃত্যু ঘটছে এ ধরনের রোগে। দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকা থেকেও অনেক শিশুকে এ হাসপাতালটিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। এমনকি দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম এ হাসপাতালটির বহির্বিভাগেও প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪শ’ শিশুকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে চিকিৎসকদের নভিশ্বাস উঠছে। শিশু বিশেষজ্ঞগণ যেকোনভাবেই শিশুদের ঠান্ডা লাগানো থেকে বিরত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। হাসপাতালটির পরিচালক ডা. বাকির আহমদও শিশুদের বর্তমান ঠান্ডা আবহাওয়া পরিহার করার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের অধিকতর সচেতন হবার অনুরোধ করেছেন।
চলতি শীত মওশুমে সম্প্রতিককালের ভয়াবহতম ঠান্ডায় দক্ষিণাঞ্চলের স্বাভাবিক জনজীবন অনেকটাই বিপন্ন। বরিশালে ইতোমধ্যে স্মরণকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গত ২৯ ডিসেম্বর ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এরপরেও নিয়মিতভাবে তাপমাত্রার পারদ সাড়ে ৭ থেকে সাড়ে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছে ঘোরাফেরা করছে। অথচ জানুয়ারী মাসে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ১১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠীরও প্রায় একই চিত্র। ঐসব জেলাগুলোর সরকারী হাসপাতাল ও বেসরকারী ক্লিনিকেও প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক শিশুকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে। যাদের প্রায় সবাই ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত।
বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪৫ শয্যার শিশু বিভাগে গড়ে রোগী থাকছে দু’শরও বেশি। ফলে এ হাসপাতালে মানসম্মত চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় অনুপস্থিত। অনেক শিশু রোগীকেই মেঝেতে আশ্রয় নিতে হচ্ছে প্রতিদিন। ফলে এখানে উন্নত চিকিৎসার প্রশ্ন অবান্তর বলে মনে করছেন ওয়াকিফহাল মহল।
দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম ৫শ’ শয্যার এ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে রোগী থাকছে প্রায় দেড় হাজার। রোগীর ভারে পুরো হাসপাতালটিই বিপর্যস্ত। সেখানে ঠান্ডাজনিত শিশু রোগী নিয়ে বাড়তি সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসকগণ।
আবহাওয়া বিভাগের দীর্ঘমেয়াদী বুলেটিনে চলতি মাসে দেশের বিভিন্ন এলাকাতে ৪.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে সাড়ে ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের দুটি মাঝারী ও তীব্র শৈত্য প্রবাহের সতর্কবার্তা দিয়ে রাখা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন