শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

তানোরে ভূল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ৭:৪৪ পিএম

রাজশাহীর তানোরে আলোচিত মহানগর ক্লিনিকে ফের ভূল চিকিৎসায় নবজাতকের মূত্যু ও প্রসূতি গুরুত্বরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারী সোমবার দিবাগত রাতে মহানগর ক্লিনিকে নবজাতক মূত্যুর এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ঘটনা ধাঁমাচাপা দিতে ক্লিনিকের লোকজন ওই রাতেই নবজাতকের অভিভাবকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে,তবে কয়েকদিন পর ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ক্লিনিকে নিয়মিত ও সার্বক্ষনিক কোনো চিকিৎসক থাকেন না তারা নিজেরাই চিকিৎসক পরিচয়ে বিভিন্ন সময়ে অস্ত্রপাচার, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপের্ট প্রদান ও চিকিৎসা করেন। তারা আরো বলেন, এর আগেও মহানগর ক্লিনিকে একাধিকবার নবজাতক মূত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি সোমবার উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির যশপুর গ্রামের জনৈক সুলতানের স্ত্রীর প্রসব বেদনা দেখা দিলে তাকে তানোর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিšত্ত ক্লিনিকের এক দালাল কম টাকায় উন্নত চিকিৎসার কথা বলে তাকে রাত ১০ টার দিকে মহানগর ক্লিনিকে নিয়ে আসে। এ সময় প্রসূতির সিজার করানোর কথা সাড়ে ৭ হাজার টাকা তাদের কাছে চাইলে তারা মাত্র সাড়ে ৫ হাজার টাকা দিতে সম্মত হয়। প্রসূতির স্বজনরা জানান, ক্লিনিকে কোনো চিকিৎসক না থাকলেও তারা সিজারের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রসূতির সাধারণ ভাবে সন্তান প্রসব করাতে গিয়ে অদক্ষ আয়া-নার্সের টানা-হেঁচড়ায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে সন্তান প্রসব হলেও কিছুক্ষল পরেই নবজাতকের মূত্যু হয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর ক্লিনিকের ম্যানেজার মামুন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মরা সন্তান প্রসব হয়েছে এতে তাদের দোষ কোথায়। তিনি বলেন, প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় প্রসূতিকে তবে তাঁরা নরমাল ডেলিভারি করতে না পেরে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়, আমরা প্রথমে সিজার করতে বলি কিন্তু তারা নরমাল ডেলিভারি করাতে চাইলে নরমাল ডেলিভারী করানো হয়। হাসপাতাল নরমাল ডেলিভারী করাতে ব্যর্থ হলে আপনারা কিভাবে নরমাল ডেলিভারী করালেন এই প্রশ্নের তিনি কোনো সদোত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গেছেন। এব্যাপারে নিহত নবজাতকের পিতা সুলতান বলেন, আমরা তাদের সিজার করার কথ বলি, কিন্তু তাঁরা সিজারের টাকা নিয়েও নরমাল ভাবেই ডেলিভারি করায় ডেলিভারির কিছুক্ষণ পরেই নবজাতকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর ওই রাতেই সাড়ে ৫ হাজার টাকা বিল নিয়ে আমাদের ক্লিনিক ছাড়তে বাধ্য করা হয়। এব্যাপারে রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন সঞ্জিৎ বলেন, চিকিৎসক ছাড়াই ক্লিনিক কিভাবে চলে, তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন