স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় যুক্ত হওয়া আটটি ইউনিয়নকে আধুনিক শহরে রূপান্তর করার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন। গতকাল মঙ্গলবার ডিএসসিসি’র ৪৯নং ওয়ার্ডের ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারে ‘জনতার মুখোমুখি জনসমাবেশে’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির সঙ্গে নতুন সংযুক্ত আটটি ইউনিয়নকে পরিকল্পিতভাবেই আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আর সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি আমরা। তিনি বলেন, আমাদের পাহাড় সমান সমস্যা। আমরা যদি সবাই নিজের স্থান থেকে মেয়র হয়ে যাই, তাহলে নগর বাসযোগ্য হয়ে যাবে।
জনতার জনসমাবেশে ৪৯নং ওয়ার্ডের নানা সমস্যার বিষয়ে শুনে সেগুলো সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মেয়র সাঈদ খোকন। ওই এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের মূল সমস্যাগুলো মেয়রকে জানান। এ ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যা হিসেবে মাঠ দখলমুক্ত করা, কবরস্থানে অবৈধ দখলমুক্ত ও সীমানা প্রাচীর স্থাপন, পার্ক নির্মাণ, রাস্তায় ধুলাবালি ও পানি জমাটের হাত থেকে রক্ষাসহ রাস্তা পরিষ্কার এবং পানি সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তারা।
এস এম বোরহান নামে স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, রাস্তা নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে গোলাপবাগ মাঠ।
এর জবাবে মেয়র বলেন, আপনারা সবাই এ অনুষ্ঠান শেষে আমার সঙ্গে যাবেন। তারপর মাঠ পরিষ্কার করে ফেলবেন।
ধলপুর কবরস্থান দখলমুক্ত করা ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের দাবি জানান আরেকজন বাসিন্দা এসএম আলী হোসেন রানা। মেয়র সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে এর জবাব দিতে বলেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, আগামী জুন মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে।
আরেকজন বাসিন্দা ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন, সায়েদাবাদ থেকে গোলাপবাগ পর্যন্ত মেইন রোডে এক সপ্তাহ ধরে ঝাড়ু দেয়া হয় না এবং বর্ষা হলেই এ সড়কে পানি জমে।
এর জবাবে সিটি করপোরেশনের ময়লা ব্যবস্থাপক বলেন, এ ধরনের সমস্যা ওই এলাকায় আমার জানা মতে নেই। তবুও যখন অভিযোগ এসেছে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
এছাড়া পূর্ব ধলপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানির সমস্যা চলছে বলে জানান ওই এলাকার বাসিন্দা মকবুল হোসেন। এর জবাবে ওয়াসার এক কর্মকর্তা বলেন, ওই এলাকায় জমি পেলেই নতুন পাম্প বসানো হবে। তখন আর পানির সমস্যা থাকবে না।
শিশু পার্ক স্থাপনের দাবি জানানো হলে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ধুপখোলা মাঠকে আধুনিক পার্ক হিসেবে তৈরির প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
৪৯নং ওয়ার্ডের সকল সমস্যা নোট করে নেয়া হয়েছে বলে জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী খান মোহাম্মদ বেলাল। তিনি বলেন, আজ থেকেই সকল সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ শুরু হবে। গুরুত্ব অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে সব সমস্যার সমাধান করা হবে। ৪৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বাদল সর্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনর রশীদ মুন্না, ৪৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু, ৪৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী শামীমসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলার এবং সিটি করপোরেশন, ওয়াসা ও পুলিশের কর্মকর্তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন