শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রামগড়ে হত্যা মামলার আসামী আটক, যৌথবাহিনীর সাথে গ্রামবাসীর হট্টগোল

রামগড় (খাগড়াছড়ি)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ৫:৪২ পিএম

খাগড়াছড়ির রামগড়ে হত্যা মামলার আসামীকে গোপন সংবাদরে ভিত্তিতে বিজিবির সহায়তায় পুলিশ আটক করে নিয়ে আসার সময় আসামীকে ছিনিয়ে নিতে গ্রামবাসীর সাথে পুলিশের টানাঁহেছড়ার ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে রামগড় জোন সদর হতে বাড়তি বিজিবি সদস্যের সহযোগীতায় আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসে। আটক রাপ্রু মারমার মুক্তির দাবি জানিয়ে অর্ধশতাধিক গ্রামবাসীও থানার প্রধান গেইট পর্যন্ত ছুটে আসে।

জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সংস্কারের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোহন কুমার ত্রিপুরাকে গত সোমবার (১৪ জানুয়ারি) রামগড় পৌর এলাকার জগন্নাথপাড়ায় একটি বাড়িতে আসরে থাকা অবস্থায় অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যার পর পালিয়ে যায়। এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ’র প্রসীত গ্রুপকে দায়ি করে নিহতের স্ত্রী হ্যাপী রানী ত্রিপুরা বুধবার (১৬ জানুয়ারি) ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫-২০জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে রামগড় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপেক্ষিতে বৃহ:বার (১৭ জানুয়ারী) মামলার ৩ নং অভিযুক্ত আসামিকে বৈদ্যপাড়া বাজার চৌধুরী এলাকার মৃত মংশেপ্রু মারমার ছেলে রাপ্রুচাই মারমা (২৮) কে পুলিশ-বিজিবির যৌথ অভিযানে আটক করে। পরে ১নং আসামী রামগড়ের ছোটখেদা এলাকার মৃত পাইও মারমার ছেলে ¤্রাথোয়াই মারমা প্রকাশ কর্তা (৪৫)কে রামগড় কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির অফিস সংলগ্ন রাস্তা থেকে আটক করে যৌথবাহিনী সদস্যরা।
পুলিশ জানায়, বৃহ:বার দুপুরের দিকে ৩ নং আসামী বাজার চৌধুরিপাড়ার থেকে রাপ্রুচাই মারমা কে আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী আসামীকে ছাড়িয়ে নিতে হট্টগোল করে। এ অভিযোগের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য আহলু অং কার্বারী (বুলু মেম্বার) বলেন, আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর টানাহেঁচড়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে বুঝিয়ে গ্রামবাসীকে বাড়ী পাঠানো হয়েছে।
ওসি তারেক মো. আব্দুল হান্নান বলেন, আসামি রাপ্রুচাই কে ছাড়িয়ে নিতে অর্ধ শতাধিক বিক্ষুব্ধ নারী পুলিশের ওপর যেভাবে চড়াও হয় পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। পরে থানার ওসি ও ইউপি সদস্য আহলু অং কার্বারী (বুলু মেম্বার) বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের শান্ত করে বাড়িঘরে পাঠিয়ে দেন। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন