ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় বসার সাথে সাথেই সর্ব প্রথম চালের মূল্যবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি শুরু হয়েছে। কথিত আছে ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই চাল ও লবনের মূল্যবৃদ্ধি পায়’ এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তিনি বলেন, লবণের মূল্য বৃদ্ধি না হলেও, খাদ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করার পর চালের মূল্য সামান্য কমলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সীমান্তে পিয়াজের কেজি ৪/৫ টাকায় বিক্রি হলেও ঢাকায় ক্রেতাদের কাছে তা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজি এবং মধ্যসত্ত্বভোগীদের অতি মুনাফালোভের কারণেই বাজারের এই উর্ধ্বগতি। এরফলে কৃষকরা তাদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না, অপরদিকে ক্রেতারাও ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কিনতে পারছেন না। বাজারের এরূপ মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা অতিদ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনলে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও মধ্যসত্ত্বভোগীরা মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতাকে আগামী রমজান পর্যন্ত টেনে নিয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় বারে ক্ষমতায় থাকার সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতা ও খাদ্যমন্ত্রীর পচা গম আমদানির কেলেঙ্কারীর কথা জনগণ এখনো ভুলেনি।
আজ বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে দায়িত্বশীলদের এক সভায় মহাসচিব এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারসাজিও দুর্নীতির আওতায় আসে। এক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষণা কার্যকর হতে হবে। আর এটাই জনগণের দাবি। জিরো টলারেন্সের ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জনগণ মনে করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, শ্রমিকনেতা হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন