ভোলার লালমোহনে ঘুমন্ত অবস্থায় গভীর রাতে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে সুরমা (২৫) নামের এক গৃহবধূ ও শিশু খাদিজা (৮)সহ ২ জন নিহত হয়েছে। গৃহবধূ ঘটনাস্থলে মারা গেলেও তার বড় বোনের মেয়ে খাদিজা গতকাল দুপুর ১টারদিকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। এসময় ওই গৃহবধুর বড় বোন আগুনে পুড়ে মারাত্মক আহত হয়। তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে লালমোহন চরভূতা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খারাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে লালমোহন থানায় নিয়ে আসে।
জানা গেছে, নিহত সুরমা তার স্বামীর সাথে বিরোধের কারণে গত ১০ দিন ধরে বড় বোন আঙ্কুরা বেগমের বাড়িতে উঠে। ওই বাড়িতে শুক্রবার রাতে খাবার পর ঘুমিয়ে পড়ে তারা। এসময় মাটির ঘরের পেছন দিয়ে সিঁধ কেটে প্রবেশ করে ঘাতক। চৌকিতে ঘুমন্ত অবস্থায় লেপ তোষকে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে সুরমার মৃত্যু হয়। এসময় তার বড় বোন আংকুরা ও বোনের মেয়ে খাদিজা (৮) পুড়ে আহত হয়। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে খাদিজা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
একই বাড়ির যুবক রাকিব জানান, রাত অনুমান সাড়ে ১২ টা থেকে ১ টার দিকে ঘটনা ঘটে। তাদের আর্তচিৎকার শুনে ঘরে প্রবেশ করে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি।
লালমোহন থানার অফির্সাস ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবীর বলেন, এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন