ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় ঘুষ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস বন্ধ করা হবে। ভূমি অফিসগুলোর নিয়ন্ত্রণ আমরা নিয়েছি। মন্ত্রণালয়ে সরাসরি অভিযোগ গ্রহণের একটি হটলাইন খোলা হবে। সার্বিক অর্থে ভূমি নিয়ে কোন অভিযোগ আমরা চাই না। দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স। আগামি পাঁচ বছরে বিপ্লব ঘটিয়ে এর পরিবর্তন আনা হবে।
গতকাল রোববার বিকালে সাভারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাঠে বিসিএস ক্যাডারভুক্ত (প্রশাসন, পুলিশ, বন ও রেলওয়ে) এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কর্মকর্তাগণের ১১৬তম সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তসলীমুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ভূমি সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অফিধদপ্তরের পরিচালক ফজলুর রহমান। প্রশিক্ষণে বিসিএস প্রশাসন, পুলিশ, বন ও রেলওয়ে ক্যাডারের ৫৮ জন কর্মকর্তা অংশ নেয়। প্রশিক্ষণার্থীরা ৪৫দিন ব্যাপী তাবুতে থেকে হাতে কলমে এ প্রশিক্ষণ নিবেন। ভূমি ব্যবস্থাপনা পরিচালনায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রশিক্ষণ এটি।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস থেকেই জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা পর পর তিনবারের মতো প্রধান মন্ত্রী হয়েছেন। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দুর করার জন্যই জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছেন। ৭০-৮০ ভাগ মামলা হয় ভূমি নিয়ে। মানুষ চায় ভূমির জটিলতা থেকে বের হয়ে আসতে। কোথায় কি সমস্যা রয়েছে তা আমরা খুঁজে দেখবো এবং সমস্যাগুলোর সমাধানও খুঁজে দেখবো। ভূমি ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশন করতে ইতোমধ্যে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এর মেরিট, ডিমেরিট দেখে আমরা ভূমির জটিলতা দুর করবো। মন্ত্রী আরও বলেন, একটি দেশের জিডিপি গ্রোথ এর উপর নির্ভর করে দেশের উন্নয়ন। আগামি কয়েক বছরের মধ্যে আমরা ডাবল ডিজিট গ্রোথে পৌঁছাতে চাই। বর্তমানে সাসটেইনেবল জিডিপি গ্রোথ ৮ এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করছি।
মন্ত্রী বলেন, ভূমির উন্নয়ন কর থেকে রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল খুঁজে বের করছি আমরা। তবে জনসাধারণের উপর যাতে কোন প্রভাব না পড়ে সেদিকে আমাদের বিশেষ খেয়াল থাকবে। দেশের জনগণের মনে শান্তির সুবাতাশ বইতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক থাকার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন