মাল্টি পারপাস কোম্পানি ‘নিউওয়ে মাল্টি পারপাস কোঅপারেটিভ’ এর নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশীদ এ আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শন শামসুদ্দিন মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, ন্যায়বিচার ও পলাতক আসামি গ্রেফতারসহ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে, কায়সারের আইনজীবী আবু সাঈদ জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
জামিন শুনানিতে তিনি বলেন, এ মামলার বিষয়ে আমরা আগে থেকে কিছুই জানতাম না। আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। আসামিকে ফাঁসানোর জন্য এমন করা হয়েছে। এ টাকা বিষয়ের আসামি কিছু জানেন না। যদি এ মামলা বিষয়ে আগে থেকে জানতেন তাহলে নিম্ন আদালতে আগাম জামিন নিতেন। তাই আদালতের কাছে যেকোনো শর্তে জামিনের প্রার্থনা করছি। জামিন পেলে আসামি তার অব্যবহার করবে না।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহেল বাকি বলেন, এমএলএম ব্যবসার নামে একটি কোম্পানির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কায়সার হামিদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা দায়ের করা হয় ২০১৪ সালে। মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। ওই মামলাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, উক্ত আসামি এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় নিউওয়ে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ নামে একটি কোম্পানির প্রতিষ্ঠান করে নিরীহ জনসাধারণকে অধিক মুনাফা প্রদানের আশ্বাস দিে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে কোম্পানি বন্ধ করে দেয়। অত্র মামলার বাদীর কাছ থেকে ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আসামি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলো।
এর আগে, গত রোববার রাতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকা থেকে কায়সারকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৪ সালে আসামি কায়সারের নামে অর্থ আত্মসাতের মামলাটি দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, জাতীয় ফুটবল দলের এক সময়ের অধিনায়ক কায়সার হামিদ বাংলাদেশে ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে স্বীকৃত। তিনি ‘মোহামেডানের কায়সার হামিদ’ নামেই পরিচিত ছিলেন। তার মা রানী হামিদ বাংলাদেশের সেরা দাবাড়ুদের একজন। তার বাবা প্রয়াত সেনা কর্মকর্তা আবদুল হামিদও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন