শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সুফল আসতে শুরু করেছে, অনেকে এখন স্বাবলম্বী

একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প

বিরল (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:১৭ পিএম

দিনাজপুরের বিরলে ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে সরকারের একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের আওতায় পরিবার গুলি। গাভী পালন, গরু মোটাতাজা করণ, ছাগল ও ভেঁড়া পালন, মৎস্য চাষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা করে নিজেদের সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে অনেকে। এ প্রকল্পে সহজ শর্তে অর্থ নিয়ে সদস্য-সদস্যারা স্বাবলম্বীর পাশা-পাশি অনেকে ইতিমধ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ২৪১ মৌজার মধ্যে ১৭৯ টিতে গ্রাম সমিতি গঠন করা হয়েছে। সমিতি গুলির মোট সদস্য সংখ্যা ১০ হাজারের উপরে। এসব সদস্যকে পর্যায়ক্রমে প্রকার ভেদে দেয়া হয়েছে সহজ শর্তে ঋণ। এ টাকা দিয়ে গাভী, ছাগল ও ভেঁড়া পালন, মৎস্য চাষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা করে অনেকে ভাগ্যে ফিরিয়েছে। এর মধ্যে বেতুড়া গ্রামের মৃতঃ হরিমোহনের পুত্র সুধীর চন্দ্র রায় গাভী পালনে, এনায়েতপুর গ্রামের সামশুদ্দিনের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন মুরগী পালনে, বাদরুনিয়া গ্রামের জামাত আলীর স্ত্রী সালেহা বেগম ছাগল পালনে, পলাশবাড়ী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের এছিম উদ্দীনের পুত্র আবুল হোসেন মেম্বার ভেঁড়া পালনে এবং খৈলতৈড় গামের মৃতঃ কান্দুড়া চন্দ্র রায়ের পুত্র শুকুমার চন্দ্র রায় ক্ষুদ্র ব্যবসা করে ইতিমধ্যে সফলতার মুখ দেখেছেন। তারা সকলে এখন স্বাবলম্বী। তাদের মত রয়েছে অনেকে। মোট সদস্যের মধ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তায় নাম লিখিয়েছেন, ১২০ জন সদস্য। তারা কম বেশি সবাই বর্তমানে সফল ও স্বাবলম্বী। এদিকে সরকারের এ উদ্যোগে অনেকটা সফলতা আসলেও রয়েছে জনবলের সমস্যা। একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের বিরল উপজেলা সমন্বয়কারী ও শাখা ব্যবস্থাপক নাহিদুর রহমান নাহিদ জানান, অফিসে জনবল ঠিকমত থাকলে এ কার্যক্রম আরো এগিয়ে যেত। তার এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জনবল প্রয়োজন ৩২ জন। আছে মাত্র ১২ জন। তিনি জানান, এ উপজেলায় ২০০৯ সাল থেকে সেপ্টেম্বর/১৮ পর্যন্ত ১৭৯ টি গ্রাম সমিতি গঠন করা হয়েছে। এসব সমিতির উপকার ভোগী মোট পরিবারের সংখ্যা ১০৭৪০ টি, মোট খামারের সংখ্যা ৪৭৫০টি, সদস্য গনের সঞ্চয়ের পরিমাণ ৫,১২,৮৬,০০০ টাকা, সরকার কর্তৃক অনুদান প্রদান ৩,৮৮,০৩,০০০ টাকা, সমিতি গুলির ঘূর্ণায়মান তহবিল রয়েছে ৫,১০,০০,০০০ টাকা, মোট তহবিলের পরিমাণ ১৪,১০,৮৯,০০০ টাকা। তিনি মনে করেন, প্রয়োজনীয় জনবল থাকলে এর পরিধি আরো বাড়তো।
সফল গাভী পালনকারী সুধীর চন্দ্র রায় জানান, আমি প্রথম থেকেই এ প্রকল্পের উপকার ভোগী হিসাবে আছি। আমাকে প্রথমে একটি গাভী দেয়া হয়। সে গাভী থেকে আমার এখন মোট গরুর সংখ্যা ১০ টি এছাড়া ২টি গরু বিক্রি করে জমি বন্ধক নিয়েছি। আমি আমার পরিবারকে নিয়ে সুখে আছি। একই ভাবে সফলতার কথা জানিয়েছেন, মর্জিনা খাতুন, সালেহা খাতুন, আবুল হোসেন, শুকুমারসহ উপকার ভোগী স্বাবলম্বী অনেকে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন