ফুলপুর যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর চাঞ্চল্যকর সাদেকুর রহমান হত্যা মামলাটির রহস্য উদঘাটিত হলেও দীর্ঘ ১০ মাস পরেও চার্জশীট দাখিল হয়নি। পক্ষান্তরে মূল আসমীদেরকে বাদ দিয়ে মামলাটি সিআইডিতে পাঠিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ করেছে মামলার বাদী নিহত যুবলীগ নেতার মা হাসিনা খাতুন। গতকাল শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
জানা যায়, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কর্তৃক ২০১৮ সালের ১০ আগষ্ট অর্থাৎ প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পূর্বে চূড়ান্ত চার্জশীট দাখিলের জন্য প্রদান করা হয়। এতে মূল আসামী মনিরুল হাসান টিটু (৪৫), আনিসুর রহমান স্বপন (৪৩), রাসেল আহমেদ রয়েল (৪০), মুমিন (২২), সাদেকুর রহমান (৪৫), আনিসুল হক শিশির(২৫), আনোয়ারুল হক মোহন (৩০), মোখলেসুর রহমান ভুলু (৫৫), হাসিবুল হাসান মিলন (২৫), শামী (২৮), মাহবুবুর রহমান (৩২), এরশাদ হোসেন লিমন (২৮), ওমর ফারুক হোসেন রিজন (২৫) সহ এজাহারভূক্ত ২১ জনসহ আরও ১০ জনের নাম রয়েছে।
উল্ল্যেখ থাকে যে, আসামী মিলন ও রিজন কারাগারে থাকাকালীন ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতে ঘটনার সাথে জড়িত এজহারভূক্ত আসামীগণের নাম ছাড়াও আরও ১০ জনের নাম উল্লেখ করেন। তাদের জবানবন্দির প্রেক্ষিতে চাঞ্চল্যকর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা সাদেকুর রহমানের হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, রামদা, ছুরি, লোহার রড ইত্যাদি উদ্ধার করে ফুলপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
হাসিনা বেগম আরও বলেন, ফুলপুর থানা পুলিশ এই মামলায় যে তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে তা সঠিক। কিন্তু পরবর্তীতে মামলার অধিকতর তদন্তের অজুহাতে রহস্যজনক কারণে সিআইডিতে পাঠানো হয়। বর্তমানে এজহারভূক্ত আসামীরা তাদের নাম বাদ দেয়ার জন্য নানান পাঁয়তারা করছে বলে হাসিনা খাতুন অভিযোগ করেছেন। মূল মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে বলেও তিনি আরও অভিযোগ করেন।
হাসিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, হত্যাকারী-সন্ত্রাসীরা জামিনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বর্তমানে হুমকি দিচ্ছে। যার ফলে মামলার বাদী নিরাপত্তহীনতায় জীবন যাপন করছে এবং মূল আসমীরা একটি মহলকে ম্যানেজ করে মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে তিনি আরও অভিযোগ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন