ছোটবেলা থেকেই বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এই পরীক্ষাগুলোর জন্য সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ের এ পরীক্ষাগুলোতে শিক্ষার্থীদের সময় জানা প্রয়োজন হয়। কিন্তু এখন পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে ঘড়িও নেওয়া যায় না। নিরাপত্তা ও নকলমুক্ত পরিবেশের জন্য সিদ্ধান্তটি ভালো হলেও সময় দেখা নিয়ে বিব্রতকর সমস্যায় পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। কিছুদিন আগে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এক শিক্ষার্থী অভিযোগ দিচ্ছিল একজন শিক্ষকের কাছে। সময় জানতে চাইলে তিনি নাকি বলেছেন, তোমার সময় জানতে হবে না, তুমি দ্রæত পরীক্ষা দাও! খুব মন খারাপ হয় তখন তার। একদিকে পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে যাওয়া, অন্যদিকে সময় না জানায় সঠিক সময় বিবেচনায় উত্তর লেখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে একজন সচেতন পরীক্ষার্থীর ফলেও প্রভাব পড়তে পারে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইচ্ছা করলেই ভালো একটি পদক্ষেপ নিতে পারে। ঘড়ি বাইরে থেকে নিতে না দিলেও প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে একটি করে দেয়াল ঘড়ি টানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। একটি করে দেয়াল ঘড়ি ক্লাসে দেওয়া গেলে সময় দেখা যেমন সমস্যার কারণ হবে না, তেমনি শ্রেণিকক্ষের সৌন্দর্যও বাড়বে। যে কোনো পরীক্ষাই ওই শ্রেণিকক্ষে হোক না কেন, তার সময় বিন্যাস করে পরীক্ষা দেওয়া সহজ হবে এবং ঘড়ি নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার প্রবণতাও কমে যাবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের, বিশেষ করে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এমন কেন্দ্রের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে একটি দেয়াল ঘড়ি বাধ্যতামূলক রাখার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করি, শিক্ষার্থীদের সময় বিন্যাস বিবেচনায় এ ব্যাপারে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
শ্রীপুর, গাজীপুর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন