শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

সৃজনশীল পদ্ধতির কারণে ভালো ফল, শিক্ষকদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন

প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : এসএসসি পরীক্ষার রেজল্টের ঘোষণা হওয়ার পর দেশজুড়ে শিক্ষার্থীরা খুশিতে মেতে ওঠে। এই রেকর্ড সংখ্যক পাসের হারের কারণে শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, অভিভাবক ও শিক্ষক থেকে শুরু করে দেশের প্রধানমন্ত্রীও আনন্দিত। এ বছর পাসের হার ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ১ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। সৃজনশীল কাঠামোতে পড়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ার কারণেই তারা ভালো ফল করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীও গতকাল ফলাফল ঘোষণার সময় বলেছেন, সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হওয়ায় মাধ্যমিকে পাসের হার বেড়েছে।
তবে সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর প্রথম দিকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল করেছিল। সে সময় সৃজনশীল শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি মহলেই সমালোচনা হয়। ওই সময় শিক্ষাবিদরা বলেছিলেন, সৃজনশীল পড়ানোর মতো শিক্ষক দেশে খুবই কম। তাই শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানো উচিত। কিন্তু এখনো শিক্ষকদের সৃজনশীলের দক্ষতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে প্রশ্ন আছে। অভিভাবকরা বলেছেন, সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য ভালো। তবে এই সৃজনশীল পাড়ানোর জন্য কোচিংয়ের আশ্রয় নিতে হয়।
তবে শহরের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পড়ানোর দক্ষতা নিয়ে প্রথম দিকে প্রশ্ন থাকলেও তারা এখন অনেকটা কাটিয়ে উঠেছেন। কিন্তু গ্রামের শিক্ষকদের সৃজনশীল পদ্ধতিতে পড়ানো দক্ষতা নিয়ে এখনো প্রশ্ন আছে। শিক্ষকদের এ দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছে সরকার।
ভিকারুননিসার শিক্ষার্থী তাসনুবা অনু বলেন, খুব ভালো লাগছে। জীবনের বড় পাবলিক পরীক্ষাতেই ভালো করেছি। আশা করছি, এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে। সৃজনশীল পদ্ধতির কারণে কি ভালো ফলাফল হয়েছে? অনু বলেন, প্রথম দিকে সৃজনশীল পড়তে ভালো লাগত না। পড়তে পড়তে এক সময় মনে হলো আগে যেভাবে পড়তাম তার থেকে এই পদ্ধতিই সহজ। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিনই পড়তে হবে।
মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর মা রোখসানা পারভীন বলেন, সন্তানের ভালো  রেজাল্টে খুব ভালো লাগছে। এই শিক্ষার্থীদের সাফল্যের  পেছনে স্কুলের এবং আমাদের শ্রম সার্থক হয়েছে। কোনো কোচিং করিয়েছেন কি না? প্রথম দিকে করাইনি, তবে সৃজনশীল হওয়ার কারণে পরে করাতে হয়েছে। কারণ বাচ্চারা স্কুল থেকে সবকিছু শিখে উঠতে পারে না।
মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম বলেছেন, শিক্ষক, মাতা-পিতা ও ছাত্রÑ এই চারের সমন্বিত প্রচেষ্টার কারণেই সাফল্য হচ্ছে। ভালো ফলাফলের জন্য পাঠ্যবই পুরোটা পড়ার বিকল্প নেই। আইডিয়াল স্কুলে ক্লাস নাইনেই পুরো বই  শেষ করা হয়। এ সময় তিনি গ্রামের শিক্ষকদের পড়ানোর পদ্ধতি ও শহরের প্রতিষ্ঠানের দক্ষতার তুলনা করে বলেন, গ্রাম বা মফস্বলের স্কুলে পাঠ্যবই শেষ করা সম্ভব হয় না। ক্লাস নাইনে বই শেষ করার কারণে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ক্লাস টেনে প্রচুর সময় পায়। এছাড়া বাবা-মাও ব্যাপক সিরিয়াস থাকেন। ফলে বরাবরের মতো ভালো ফলাফল আসে।
শিক্ষার্থীদের ফলাফলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার পরিবেশ সুনিশ্চিত করেছে বলেই পাসের হার বাড়ছে। বর্তমান সরকার শুধু  লেখাপড়াই নিশ্চিত করছে না বরং তাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করছে। বুধবার সকালে গণভবনে এসএসসি ফলাফল হস্তাস্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন