শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ক্র্যাবের সাথে মতবিনিময়কালে ডিএমপি কমিশনার

ভুয়া মামলার আসামিদের জামিনে উদ্যোগ নেয়া হবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঢাকা মহানগরীতে গত ৬ মাসে কোনো ভুয়া মামলা হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কেউ ভুয়া মামলায় আসামি হয়ে থাকলে তাদেরও জামিন প্রাপ্তির বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে। গতকাল দুপুরে ডিএমপি সদর দফতরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, আগে পুলিশ চাঁদাবাজী করতো। সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করতো। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে পেন্ডিং মামলায় চালান দিতো। ঘুষ নিতো। পুলিশের অপকর্মের সঙ্গে কোনো সাংবাদিকেরও যোগসাজস ছিল। এসব এখন বন্ধ হয়েছে। হলুদ সাংবাদিকতা জাদুঘরে গেছে। এখন পুলিশ ঘুষ খেলেও তা চুরি করে খায়, অত্যন্ত গোপনে। কারণ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কেউ জানতে পারলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
মতবিনিময় সভায় ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের, সহ-সভাপতি মিজান মালিক, সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার, যুগ্ম-সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক দুলাল হোসেন মৃধা, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম, কৃষ্ণপদ রায়, যুগ্ম-কমিশনার মোসলেহ উদ্দিন, শেখ নাজমুল আলম, ডিসি মো. মাসুদুর রহমানসহ ক্র্যাব ও ডিএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপি প্রধান বলেন, অতীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনায় পুলিশের মনমালিন্য ঘটনা ঘটলেও এখন এগুলো শুধুই অতীত। এখনকার সম্পর্ক অনেক চমৎকার। বর্তমানে সাংবাদিকতা পেশায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। নবীন, কর্মঠ ও শিক্ষিত তরুণরা সাংবাদিকতা পেশাকে বেছে নিয়েছেন। সব অবস্থায় সাংবাদিকদের দেশ ও জাতির সার্থে কাজ করতে হবে। দেশে অনেক আন্তর্জাতিক মানের সাংবাদিক রয়েছে। কিন্তু যে কোনো কারণেই হোক কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা সত্য লিখতে পারে না। এ থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতে হবে।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হাতে ক্ষমতা আছে বলেই যাকে তাকে ধরে চালান দেয়া যাবে না। এ ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। সেবার মানসিকতা দিয়ে মানুষের হৃদয় জয় করতে হবে। পুলিশের মনোভাব পরিবর্তন করতে আমি নিয়মিত কাউন্সিলিং করি। পুলিশ সদস্যদের বল প্রয়োগের চেষ্টা এবং খবরদারীর মনোভাব ত্যাগ করতে হবে। সব ধরণের অনিয়ম বন্ধ করতে হবে।
২০১৬ সালে উল্টো পথে গাড়ি চলাচলে মহোৎসব শুরু হয়েছিল। এ সমস্যা সমাধানে আগে আমি ক্র্যাব নেতাদের ডাকি। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করায় এখন পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি হয়েছে। এখন ৭০-৮০ ভাগ লোক ট্রাফিক আইন মেনে চলে। বিদেশে মানুষ ট্রাফিক আইন মেনে বুঝায় যে, তারা কত ভদ্র। আর এদেশে আইন না মেনে বুঝায় যে, তারা কত বড় মাস্তান।
ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, এই মুহুর্তে পুলিশের সঙ্গে সাংবাদিকদের সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক রয়েছে। কোনো ব্যক্তির অপকর্মের কারণে যদি একটি বাহিনী বা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার আশংকা থাকে তবে তা অবশ্যই প্রকাশ করা উচিত। দেশ ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের খবর আমাদের শক্ত করে লেখা উচিত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
md kamrul hasan ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:১৫ এএম says : 0
পুলিশ জনগনের বন্ধু।সর্বাবস্থায় পুলিশকে সত্যের পথে থাকা উচিত।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন