শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সংবিধান সংশোধনে অনুমোদন পেলেন সু চি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ৮:২০ পিএম

মিয়ানমারেরে সংসদ দেশটির সংরক্ষিত সেনা সদস্যদের তোপ উপেক্ষা করেই সেনাবাহিনী রচিত সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার প্রস্তাবটি মিয়ানমারের সংসদ ‘পিদাউংসু হ্লুত্ত’র ভোটাভুটিতে টিকে যায়। এ নিয়ে এখন মুখোমুখি অবস্থানে সু চি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) পক্ষ থেকে আনা প্রস্তাব অনুমোদনের ফলে সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে কমিটি গঠিত হবে।
এর আগে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা কমাতে সংবিধান সংশোধনের আহ্বান জানানোর পর ২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারি সু চির মুসলিম উপদেষ্টা কো নিকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হলেও ঘটনার বিচারের কোন উদ্যোগই নেয়া হয়নি। ওই ঘটনার দ্বিতীয় বার্ষিকীতেই সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব এনেছে এনএলডি।
সংসদের মোট ৬০১ জন সদস্যের মধ্যে ৩৬৯ জন এনএলডির প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। এসময় সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত আসনের সদস্যরা হট্টগোল শুরু করেন। তারা বলেন, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব আনার আগে সংসদ সদস্যদের অবহিত করা উচিত ছিলো। জবাবে স্পিকার উ টি খুন মিয়াত তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সংসদের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বানও জানান।
সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব আনার ফলে সেনাবাহিনী ও সু চির এনএলডির মধ্যে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের ৩ বছর পর এই প্রথম সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করেছে এনএলডি। নির্বাচনে জয় পেলেও সংবিধানের অদ্ভুত বিধানের কারণে প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি সু চি।
২০০৮ সালে সেনাবাহিনীর তৈরি সংবিধানে প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্রসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো সেনাবাহিনীর অধীনে রাখা হয়। সংসদের দুই কক্ষেই সেনাবাহিনীর জন্য এক চতুর্থাংশ আসন সংরক্ষণের বিধান করা হয়। সংবিধান চূড়ান্তভাবে সংশোধনে পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশের বেশি সদস্যের সমর্থনের লাগবে। সূত্র: রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন