দুপচাঁচিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার এস এম জাকির হোসেনের হস্তক্ষেপে অবশেষে করমজি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫২ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রবেশ পত্র পেয়েছে।
জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম ফিলআপ বাবদ জন প্রতি দুই হাজার থেকে সাত হাজার পর্যন্ত গ্রহণ করেছে। ছাত্র ছাত্রীরা পরীক্ষার প্রবেশ পত্র নিতে গেলে প্রধান শিক্ষক আবার ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে দুই শত থেকে আড়াইশত টাকা দাবি করেন। ছাত্র ছাত্রীরা এই টাকা দিতে অনীহা প্রকাশ করায় প্রধান শিক্ষক প্রবেশ পত্র প্রদান করা থেকে বিরত থাকে। এক পর্যায়ে এসএসসি ৫২ জন পরীক্ষার্থী যৌথ ভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে উপজেলার নির্বাহী অফিসার এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগ প্রাপ্তির পরই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল কুমারকে ডেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্র প্রদানের নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে ৫২ জন ছাত্র ছাত্রী তাদের প্রবেশ পত্র পেয়েছে।
এব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. জাকির হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক ইনকিলাবকে জানান প্রধান শিক্ষককে ডেকে এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্র দ্রুত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অন্যান্য অভিযোগগুলো তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন