মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রহসন করেছিল বিএনপি

আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাচন বর্জন, প্রতিহত করার চক্রান্ত এবং নির্বাচনে অংশ নিয়েও প্রহসন করার কারণে দলটি জনগণ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। নিজেদের ওপর আস্থা হারিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার চক্রান্তের পথ থেকে বেরিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তথ্যমন্ত্রী।
গতকাল দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রয়াত রাজনীতিক ‘সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস’ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ বলেন, শনিবার বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, কোনো নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবেন না কারণ নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীসহ কারো ওপরেই তাদের আস্থা নেই। আসলে নিজেদের ওপরেই আস্থা নেই তাদের।
তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন, প্রতিহত করার চক্রান্ত এবং নির্বাচনে অংশ নিয়েও প্রহসন করার কারণে বিএনপি জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের না যাওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, শনিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামাজিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দুঃখজনক যে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সেখানে যাননি, যাবেন না বলে চিঠিও দিয়েছেন। এতে প্রমাণ হয়, বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
তথ্যমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, ভেবেছিলাম ড. কামাল বিএনপিকে সৌজন্য শেখাবেন, কিন্তু তার পরিবর্তে তিনি নিজেই বিএনপির অসৌজন্যে প্রভাবিত হয়েছেন। ‘আওয়ামী লীগ না কি জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে’ বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের এমন বক্তব্যে হাছান বলেন, আসলে বিএনপিই দূরে সরে গেছে। যারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে, জনগণকে প্রতিপক্ষ করে, তাদেরকে মানুষ কিভাবে ভোট দেবে ?
ড. হাছান মাহমুদ এসময় প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তকে একজন জনদরদী ও সৌজন্যবোধসম্পন্ন রাজনীতিক হিসেবে অভিহিত করে বলেন, রাজনীতির মাঠে বিরোধ থাকে কিন্তু সৌজন্যতাও যে থাকে, প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত সে স্বাক্ষর রেখেছেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরি সভাপতি প্রবীণ অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আজাদ খান, প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, চিত্রতারকা অরুণা বিশ্বাস, বিদ্যা সিনহা মীম, জেনিফার ফেরদৌস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:০৭ এএম says : 0
তথ্যমন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সামাজিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দুঃখজনক যে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সেখানে যাননি, যাবেন না বলে চিঠিও দিয়েছেন। এতে প্রমাণ হয় বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট নেতিবচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। আমি ওনার সাথে একমত পোষন করছি এখনে দেশের প্রশাসনিক প্রধান তার সরকারি বাসভবনে সরকারি ভাবে নিমন্ত্রণ করেছেন সেখানে না যাবার যে বাহানা এনারা করেছেন সেটা মানায় না। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে মিলে মিশে ভাই ভাইয়ের মত বসবাস করার মনোভাব করে দিন। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন