বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

অবশেষে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জাহালম

গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:০৮ এএম

হাইকোর্টের নির্দেশে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র মামলার ভুল আসামি টাঙ্গাইলের জাহালম মুক্তি পেয়েছেন। রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটের দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে তিনি মুক্তি পান। রাতেই তিনি ভাই বড় ভাই শাহনূর মিয়ার সাথে গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৬ মিনিটে উচ্চ আদালতের আদেশের কপি এ কারাগারে পৌছে। পরে যাচাই বাছাই শেষে রাত ১২টা ৫৬মিনিটের দিকে জাহালমকে মুক্তি দেয়া হয়। তিনি আরো জানান, ২০১৬ সালের ২৭ মে জাহালমকে এ কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

মুক্তি লাভের পর এক প্রতিক্রিয়ায় জাহালম বলেন, দুদুকের ভুলে তিনি বিনা কারণে তিন বছর জেল খেটেছেন। তাই দুদকের কঠিন বিচার চাই। সঠিক তদন্ত করে যেন আসামি ধরা হয় এই আহবান জানান তিনি।

এসময় তার ভাই সাহানুর মিয়া বলেন, যাদের ভুলের কারণে তার ভাই জেল খেটেছে তাদের বিচার এবং ক্ষতিপূরণ চাই।

কারা ফটক থেকে ভাই জাহালম বেরিয়ে আসায় খুশিতে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে একটি মাইক্রোবাস দিয়ে তিনি কারা এলাকা ত্যাগ করেন।

জানা গেছে, রবিবার হাইকোর্ট দুদকের দায়ের করা মামলায় কারাগারে থাকা ভুল আসামি টাঙ্গাইলের জাহালমকে সব মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে তাকে রবিবারই মুক্তি দিতে ডিআইজি প্রিজন্সকে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।

এর আগে, গত ২৮ জানুয়ারি ২৬ মামলায় ভুল আসামি জেলে থাকার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ও মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থানের পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ওই আদেশ দেন। দুদকের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী, স্বরাষ্ট্র সচিবের একজন প্রতিনিধি ও আইন সচিবের একজন প্রতিনিধিকে উপস্থিত থেকে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার সকালে ওই চারজন হাইকোর্টে হাজির হন।

প্রসঙ্গত, একটি জাতীয় দৈনিকে ‘৩৩ মামলায় ভুল আসামি জেলে’ ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আবু সালেকের (মূল অপরাধী) বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলা হয়েছে। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন জাহালম। তিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক।

ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত। প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপনের পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

২০১৬ সালের ৬ ফেরুয়ারি নরসিংদীর ঘোড়াশালের মিল থেকে জাহালমকে আটক করা হয়েছিল। ফলে প্রায় ৩ বছর কারাগারে বন্দি থাকার পর জাহালম মুক্তি পান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Nannu chowhan ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৯:১৪ এএম says : 0
Eakhon proyjon jahalamke 3ti mulloban botsor noshter jonno khotiporon deowar bebosta kora ebong oaishob dudoker kormokorta o pulisher shajar bebosta kora eaivabe jeno ar konodin kono niriho manushke jele dhukano na hoy.....
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন