খুলনা ব্যুরো : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের মতামত ও চাহিদার ভিত্তিতে বাজেটে গুরুত্বপূর্ণ খাতে অর্থ বরাদ্দ রাখার জন্য মতামত তুলে ধরা হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে স্থানীয় কৃষি খাতের উন্নয়নে জলাবদ্ধতা নিরসন, নদীÑখালের পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করা, সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়াসহ এ অঞ্চলের জীবন-মান উন্নয়নে বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করতে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। আসন্ন বাজেট অধিবেশনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়নে বরাদ্দ প্রদানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহ চিহ্নিতকরণে গতকাল সকালে খুলনা সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে গণ-শুনানীতে বক্তারা এসব যুক্তি উপস্থাপন করেন। গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটি এ গণ-শুনানীর আয়োজন করে। জাতীয় পরিকল্পনা ও বাজেট সম্পর্কিত সংসদীয় ককাস এর সহ-সভাপতি ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, সাংবিধানিকভাবে আঞ্চলিক বৈষম্য কখনোই গ্রহণযোগ্য না, এটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপন্থী। জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত রাখতে এবং আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসন করতে স্থানীয় অগ্রাধিকার ভিত্তিক খাতসমূহ চিহ্নিত করতে হবে।
সভায় জাতীয় পরিকল্পনা ও বাজেট সম্পর্কিত সংসদীয় ককাস’র সদস্য সাতক্ষীরা-১ আসনের এমপি মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, খুলনা-১ আসনের এমপি পঞ্চানন বিশ্বাস এবং বরিশাল-৩ আসনের এমপি টিপু সুলতান উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যর মধ্যে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন। এতে জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং গণ-মাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির সদস্য এ্যাড. কুদরত-ই-খুদা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির। গণশুনানীতে বক্তারা, এতদাঞ্চলের উন্নয়নে কর্মসংস্থানের জন্য শিল্পের বিকাশে অর্থ বরাদ্দ রাখা, দুর্যোগপ্রবণ এলাকাকে গুরুত্ব দেয়াসহ স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখার আহবান জানান। এছাড়া বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে তারা ন্যাশনাল ইন্টিগ্রিটি সিসটেম চালু করার দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন